স্টাফ রিপোর্টার: আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতের প্রতিটি ব্লকে তাঁদের গৈরিক পতাকা ‘ভাগ্য ধ্বজ’ উড়বে বলে দাবি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (Rashtriya Swayamsevak Sangh)। শুক্রবার থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচারক সভা। পরবর্তী তিন বছরের জন্য ‘সরকার্যবহ’ পদ-সহ সংঘের সর্বভারতীয় কার্যকরী কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনও এই সভা থেকে হওয়ার কথা। সংঘের ইতিহাসে এই প্রথম নাগপুরের বদলে অন্য কোথাও নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অতিমারীর কারণেই বেনজির এই সিদ্ধান্ত। একই কারণে গতবছর এই বার্ষিক সভা বাতিল করা হয়েছিল।
সংঘ সূ্ত্রে খবর, এক যুগ পর এবারের সভায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ‘সরকার্যবহ’ বা সাধারণ সম্পাদক পদে বদল আসতে চলেছে। বর্তমান সরকার্যবহ সুরেশ ভাইয়াজি যোশী বয়সজনিত কারণে নিজে থেকেই সরে যেতে চাইছেন বলে খবর। ৭৩ বছর বয়সী যোশী ( Bhayyaji Joshi) তিন বছর আগেও একই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু একবছরের মাথায় লোকসভা নির্বাচন থাকায় তাঁর সেই ইচ্ছায় সম্মতি দেয়নি সংঘ। সূত্রের খবর, এবারের সভায় ভাইজির জায়গায় নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা প্রবল। এক্ষেত্রে জল্পনায় রয়েছে দত্তকাত্রেয় হোসাবলে ও কৃষ্ণগোপালের নাম। তবে ভাইয়াজি যোশীকে পুরোপুরি না ছেড়ে নতুন কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হতে পারে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: বামেদের হয়ে ভোট চাইতে আপত্তি! কেরলের নির্বাচনের আগে রাজ্যে আসবেন না রাহুল]
শুক্রবার বৈঠকের শুরুতে সংঘের (RSS) সহ-সরকার্যবহ মনোমহন বৈদ্য জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় টানা সেবা কর্মসূচির কারণে দেশবাসীর মনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সম্পর্কে নতুন করে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, এই আগ্রহের পিছনে দুটি কারণ। এক, লকডাউনের সময় দেশজুড়ে খাবার, রেশন ও ওষুধ বিলি। দুই, রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণে অর্থ সংগ্রহ অভিযানে নেমে দেশের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। তিনি জানান, অতিমারীর সময়ে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের হাতে খাবার তুলে দিয়েছে স্বংঘ। ২০ লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। ৭৩ লক্ষ মানুষকে রেশন দেওয়া হয়েছে। বিপুল এই কর্মযজ্ঞে পৌনে ছ’ লক্ষ স্বয়ংসেবক দিন রাত কাজ করেছেন। পাশাপাশি গত ১৫ জানুয়ারি থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে ৪৪ দিন ধরে যে অর্থ সংগ্রহ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল, তাতে গোটা দেশে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাছেন ২০ লক্ষ সংঘ সদস্য। তিনি জানান, দেশের সাড়ে ৫৮ হাজার মণ্ডলের মধ্যে ৬০ শতাংশ মণ্ডলে সংঘ ইতিমধ্যেই পা রেখেছে। সংগঠনের প্রসার যেভাবে হচ্ছে, তাতে আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতের প্রতিটি মণ্ডলে তাঁরা পৌঁছে যাবেন বলেও দাবি করেছেন বৈদ্য।