সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারে গেরুয়া শিবিরের বড় চমক! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হতে পারেন রুদ্রনীল ঘোষ, এই জল্পনা তুঙ্গে। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ডায়মন্ড হারবার। ২০১৪ সাল থেকে এই কেন্দ্রের সাংসদের দায়িত্ব সামলেছেন অভিষেক। ব্রিগেডের মঞ্চেও নিজের কেন্দ্র নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এমন কেন্দ্রেই পদ্মপ্রার্থী হিসেবে রুদ্রনীলের (Rudranil Ghosh) নাম শোনা যাচ্ছে।
ফাইল চিত্র
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রুদ্রনীল। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে পরাস্ত হলেও বিরোধী শিবিরের সমালোচনা কিংবা কর্মসূচী নিয়ে সমালোচনা কিন্তু বহাল রেখেছেন তিনি। বঙ্গবিজেপির উজ্জ্বল মুখ টলিউড তারকা। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারে কি তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নেবেন? উত্তর ভবিষ্যতেই জানা যাবে।
[আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমে ভোটপ্রচারে রচনা, শরীর ঠিক রাখতে কী করছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’?]
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত বিজেপি ৩৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতে রুদ্রনীলের নাম নেই। এদিকে দোলের দিন আচমকাই দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন অভিনেতা। তাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, লোকসভায় প্রার্থী না হওয়ার অভিমানেই কি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন রুদ্রনীল?
যদিও এর জবাব দিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে রুদ্রনীল বলেন, “দলের ১০-১১টি গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছি। কিন্তু একাধিক গ্রুপে অ্যাড ছিলাম। যে যেমন পারছিলেন অ্যাড করছিলেন। এত ভিডিও দেখে আর পারছিলাম না। ফোনটা ভরে যাচ্ছিল। দোলের দিন, ফাঁকা ছিলাম। সেই সব গ্রুপ থেকেই সরে গেলাম। প্রায় ৭৭টা গ্রুপে অ্যাড ছিলাম আমি।”
ফাইল চিত্র
টিকিট না পাওয়া নিয়ে খানিক হতাশাও ছিল অভিনেতার মনে। তাই তো বলেছিলেন, "আক্ষেপ বা দুঃখ কিছু হয়নি। কিন্তু আশা ছিল না, এটা বললে মিথ্যা বলা হবে।" তারকা রাজনীতিবিদের আশা এবারে পূরণ হয় কিনা, তা আর ডায়মন্ড হারবারের গেরুয়া প্রার্থী ঘোষণা হলেই জানা যাবে। এদিকে বীরভূম কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হিসেবে দুটি নাম শোনা যাচ্ছে। একটি দেবাশিস ধরের, অন্যটি জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের।