সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যান কার্ড-আধার কার্ড (Aadhaar Card) সংযুক্ত করা হয়েছে আগেই। এ বার নতুন আইনে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্ত করা হবে। আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিংক করার প্রস্তাব গত বছরই দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই প্রক্রিয়ার গতি বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার বিদায়ী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (Sushil Chandra) জানিয়েছেন, কেন্দ্র দ্রুত আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের নিয়ম তৈরি করবে। আপাতত আধার এবং ভোটারের সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। তবে যদি কেউ আধার এবং ভোটার সংযুক্ত করতে না চায়, তাঁকে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। সুশীল চন্দ্রর দাবি, তাঁর আমলে নির্বাচনী ক্ষেত্রে একাধিক সংস্কার করেছে কমিশন। বহু চেষ্টার পর সরকারকে তারা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই সংস্কার প্রয়োজনীয়।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় মানিক সাহার শপথেও BJP’র কাঁটা গোষ্ঠীকোন্দল, গরহাজির উপমুখ্যমন্ত্রী-কারামন্ত্রী]
যদিও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার’ সংক্রান্ত মামলার কারণেই আপাতত বাধ্যতামূলক করা যাচ্ছে না ভোটার-আধার সংযুক্তিকরণ। আপাতত এই নিয়ম চালু হতে পারে ‘ঐচ্ছিক’ হিসাবে। ভুয়ো ভোটার কার্ডকে চিহ্নিত করে নিখুঁত ভোটার তালিকা তৈরির জন্য আগেই আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযুক্ত করার প্রস্তাব আইন মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। প্রস্তাবটিকে অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রক (Law Ministry)। বলা হয়, এই সংযুক্তিকরণ হলে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করা যাবে সহজেই যা গণতন্ত্রের জন্য দরকার।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সংকল্প শিবিরেও অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে গেহলট-পাইলট বিরোধ ]
প্রসঙ্গত, সেই ২০১৪ সালেই ভোটারদের কাছ থেকে আধার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছিল নির্বাচন কমিশন। সংযুক্তিকরণ না হলেও সেই প্রক্রিয়ায় ভোটারদের আধারের সব তথ্যই চলে যাচ্ছিল নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে। দেশের প্রায় ৪০ কোটি ভোটারের তথ্য চলে এসেছিল কমিশনের হাতে। তারপর ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট গোপনীয়তার অধিকারের পক্ষে সওয়াল করার পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়।