সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ফাইনাল। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারতীয় দল। কিন্তু তার আগে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ( Ravi Ashwin) তীব্র আক্রমণ করলেন প্রাক্তন পাক স্পিনার সইদ আজমল (Saeed Ajmal)। বোলিংয়ের সময় স্পিনাররা ১৫ ডিগ্রির বেশি কনুই ভাঙতে পারবেন না। সম্প্রতি আইসিসির (ICC) কাছে নাকি এই নিয়মটি তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন অশ্বিন। আর সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন আজমল। অশ্বিনের উপর আইসিসির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বললেন, বোলিং অ্যাকশনের জন্য অশ্বিনও তাঁর সঙ্গে নির্বাসিত হতে পারতেন। কিন্তু সেসময় আইসিসি তাঁকে বাঁচায়। তবে এর পাশাপাশি, কারওর পরামর্শ না নিয়ে ‘দুসরা’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার অভিযোগও তুলেছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে।
বোলিংয়ের সময় ১৫ ডিগ্রিরও বেশি কনুই ভাঙার অভিযোগে আজমলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পাক স্পিনারের অভিযোগ তুলে বলেন, এই সময় অশ্বিনেরও বোলিং অ্যাকশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু তাঁকে বাঁচিয়েছে আইসিসি। ইচ্ছাকৃতভাবে ৬ মাস ক্রিকেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল ভারতীয় স্পিনারকে। আজমলের কথায়, “আমার উপর যখন আইসিসির নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়াটি চলছিল, ওই সময় ছ’মাসের জন্য অশ্বিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রিকেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। যাতে ও নিজের অ্যাকশন শোধরানোর সুযোগ পায় এবং কোনও নিষেধাজ্ঞাও যেন জারি না হয়।”
[আরও পড়ুন: Euro 2020: ফ্রান্স-জার্মানি ম্যাচের আগে প্যারাস্যুট নিয়ে মাঠে বিক্ষোভকারী! আহত বহু দর্শক]
এখানেই শেষ নয়, আইসিসি কেবল টাকার কথাই ভাবে। মূলত কারওর সঙ্গে আলোচনা না করেই স্পিনারদের ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কনুই ভাঙার নিয়ম কার্যকর করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এমনই অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন পাক স্পিনার। বলেন, “কাউকে জিজ্ঞেস না করেই আইসিসি ওই নিয়মকানুনগুলো বদলেছে। গত ৮ বছর ধরে আমি ক্রিকেট খেলছিলাম। এই নিয়মগুলো আমার জন্যও প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু একজন পাকিস্তানি বোলারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, ওদের কিছু যায় আসে না। ওদের কাছে টাকাটাই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।” অন্যদিকে, আবার আরেকটি সাক্ষাৎকারে আজমলকে বলতে শোনা যায়, তিনি মাত্র একমাসে যেকোনও তরুণ ক্রিকেটারকে ‘দুসরা’ বল করতে শেখাতে পারবেন। আর এই ভিডিওটি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হয়েছেন সইদ আজমল।