shono
Advertisement

পাহাড়ি এলাকার লুপ্তপ্রায় প্রাণী রক্ষার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের, হেরিটেজ হবে স্যালামান্ডারের বাসস্থান

তাদের বাসস্থান নামথিংপোখরিকে হেরিটেজ সাইট করার উদ্যোগ বেঙ্গল বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের।
Posted: 09:55 PM Jan 29, 2022Updated: 09:55 PM Jan 29, 2022

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: এতদিন স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও পুরাতত্ত্বের নিদর্শনকে হেরিটেজ (Heritage) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু একটি লুপ্তপ্রায় প্রাণীর সংরক্ষণ ও বংশবিস্তারের জন্য একটি এলাকাকে হেরিটেজ জোন হিসাবে চিহ্নিত করবে রাজ্য সরকার। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি বোর্ড। প্রাণীর নাম স্যালামান্ডার (Salamandar)। দার্জিলিং-কার্শিয়াংয়ের পাহাড়ি এলাকায় বনজঙ্গলে ঘেরা নামথিংপোখরি। এর মধ্যেই প্রাকৃতিক জলাশয়, নামথিং লেক। লেকেই বাস স্যালামান্ডারের। খানিকটা উভচর ও খানিকটা সরীসৃপ।

Advertisement

কোটি কোটি বছর ধরে জীবজগতের বিবর্তন হয়েছে। কিছু প্রাণী বেমালুম নিশ্চিহ্ন হয়েছে। আবার কিছু প্রাণীর বিবর্তন হয়েছে। নতুন আদলে ফিরে এসেছে। কিন্তু স্যালামান্ডার এমন এক প্রাণী যা উভচর (Amphibian) ও সরীসৃপের দোষগুণ নিয়ে এখনও টিকে আছে। আরও বড় ঘটনা হল জীবজগতের এই ‘মিসিং লিংক’ দেশের একমাত্র এই জলাভূমিতেই দৃশ্যমান। হাজারো প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বেঁচেবর্তে আছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রায় ১২ কিলোমিটার এই লেক এখন হেরিটেজ জোন(Heritage Zone) হিসাবে তকমা পাবে। ‘হেরিটেজ প্রাণী’ হিসাবে সংরক্ষণ হবে এই প্রাণী। সেই কাজ এখন চলছে জোরকদমে।

[আরও পড়ুন: মাছের মড়ক রুখতে রবীন্দ্র সরোবরে তরল অক্সিজেন, সবুজায়নের উদ্যোগ নগরোন্নয়ন দপ্তরের]

ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি (Biodiversity) বোর্ডের গবেষক ডা. অনির্বাণ রায়ের কথায়, “এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সমস্ত নথি জোগাড় করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানোর কাজ প্রায় চূড়ান্ত। অনুমোদন পেলেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করা হবে।” বায়োডাইভার্সটি বোর্ডের স্থানীয় আধিকারিক বিষ্ণু থাপা জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী প্রায় এক হাজারের মতো স্যালামান্ডারের বিচরণভূমি এই লেক ও সংলগ্ন জলাভূমি।

[আরও পড়ুন: ছায়াপথে মিলল রহস্যময় আগন্তুকের সন্ধান! ঘড়ি ধরে পাঠাচ্ছে সংকেত]

খানিকটা টিকটিকির মতো আদল। জলেও থাকে। আবার জলের ধারেও ঠান্ডা এলাকায় স্বচ্ছন্দে বিচরণ করে। ডিম পেড়ে বংশবিস্তার করে। ২০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। মাথাকে ঘাড় থেকে আলাদা করা যায় না– এমনটাই গড়ন। গায়ে আঁশ নেই। চামড়া ভিজে, ঠান্ডা, তৈলাক্ত। শীতল রক্তের প্রাণী স্যালামান্ডার। ২.৫-২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। এবং ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়। রাতচরা প্রাণী। মূলত ছোট জলজ প্রাণী ও শ্যাওলা খেয়ে থাকে। বায়োডাইভার্সিটি বোর্ড সূত্রে খবর, লোকালয় এড়িয়ে চলে। পোকামাকড় হত্যা না করে একবারে গিলে খায়। শিকার করার আগে এক ধরনের আঠালো চটচটে বিষ নিঃসরণ করে।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement