shono
Advertisement
Rajarhat

ক্যামেরা গলায় পাখি বাঁচানোর লড়াই সুজয় মাস্টারের, পড়ুয়াদেরও দিচ্ছেন পরিবেশ প্রেমের পাঠ

রাজারহাটের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও চোরাপাচারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন মাস্টারমশাই।
Published By: Suhrid DasPosted: 04:11 PM Feb 17, 2025Updated: 10:16 AM Feb 18, 2025

দিশা ইসলাম, সল্টলেক: পেশায় স্কুল শিক্ষক। আর নেশা ফোটোগ্রাফি। স্কুলে ছুটি পেলেই ক্যামেরা কাঁধে দূরদূরান্তের বনজঙ্গলে বেরিয়ে পড়েন। বাড়ির চারপাশেও ঘোরেন পাখি দেখতে। পাখি ধরা ও মারার পাতা ফাঁদ দেখলেই ঘটনাস্থলে গিয়ে রুখে দেন। চোরাশিকারিদের পুলিশ এবং বন দপ্তরের খবর দিয়ে শায়েস্তা করানোর ভয় দেখান। জোর করে ফাঁদ খুলে মুক্ত করেন পাখি।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে পরিবেশগত নানা কারণে পাখি ক্রমশ কমছে। তার উপর চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পাখিপ্রেমী শিক্ষক সুজয় মণ্ডল। তিনি রাজারহাটের রাইগাছি হাইস্কুলের ইংরাজির শিক্ষক। থাকেন উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের গোপালপুরে। স্কুলে পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি সুজয়বাবু রাইগাছি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাখি মারা ও ধরা রুখতে সচেতনতার ক্লাস করান। 

সুজয়বাবুর বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে রোজই প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। আসা যাওয়ার দুটি পথ। একটি হাড়োয়া রোড, অপরটি খড়িবাড়ি রোড। দুটি রাস্তার দু’ধারে বিরাট অংশে রয়েছে জলাভূমি। তাতে মাছ চাষ হয়। জলাশয়ে মাছশিকারি পাখিদের উৎপাতও রয়েছে। সেই উপদ্রব ঠেকাতে মাছচাষিদের একাংশ জলাশয়ের উপর প্লাস্টিকের নেট বা জাল পেতে দেন। এর ফলে জলাশয়ে পৌঁছনোর আগেই পাখিরা আটকে পড়ে পাতা ফাঁদে। পাখি ধরার স্বল্পদৈর্ঘ্য একটি ভিডিও করে রেখেছেন সুজয়বাবু। 

তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘুঘু জালে আটকে ছটফট করছে। পরে ঘুঘুটি মুক্ত আকাশে উড়ে যায়। শিক্ষক সুজয় বলেন, "মাছ চাষের জলাশয়ে নেট খুলতে গিয়ে অনেক চাষি ও চোরাশিকারির শত্রু হয়ে গিয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফির নেশায় স্কুলের লম্বা ছুটিতে উত্তরবঙ্গ, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, ওড়িশা ইত্যাদি এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেরিয়ে পড়ি।" তাঁর ফ্রেমবন্দি কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ফোটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় সুনাম কুড়িয়েছে। সুজয় মাস্টারের এই কর্মকাণ্ডে গর্বিত তাঁর সহকর্মীরাও। রাইগাছি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শঙ্খ ভট্টাচার্য বলেন, "স্কুলের সকলেই সুজয়ের নজরকাড়া ফোটোগ্রাফির গুণমুগ্ধ। ওঁর ছবি নানান নেচারস ক্লাবের প্রতিযোগিতায় পুরস্কার ছিনিয়েও এনেছে। ওকে নিয়ে আমরা গর্বিত।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পেশায় স্কুল শিক্ষক। আর নেশা ফোটোগ্রাফি।
  • স্কুলে ছুটি পেলেই ক্যামেরা কাঁধে দূরদূরান্তের বনজঙ্গলে বেরিয়ে পড়েন।
  • পাখি ধরা ও মারার ফাঁদ পাতা দেখলেই ঘটনাস্থলে গিয়ে রুখে দেন।
Advertisement