সুব্রত বিশ্বাস: কোভিড (Covid -19) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসামাত্র স্বাভাবিক হয়ে যাবে জীবনযাত্রা। তখনই বাঙালি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ছুটবে দোকানে। বাঙালি বাজার করবে না, তা হয় না। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমেই যদি মনের মতো জিনিস মেলে, তবে বাজারে ছুটবেন কেন? এসব কথা ভেবে শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Station) জোরকদমে চলছে শপিং মল তৈরির কাজ।
শিয়ালদহ স্টেশনেই এবার পেয়ে যাবেন ব্র্যান্ডেড যাবতীয় সামগ্রী। জামা থেকে জুতো, খাদ্যসামগ্রী থেকে বিউটি পার্লার, কি থাকবে না সেখানে। একথা মাথায় রেখেই রেল শিয়ালদহ স্টেশনে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মল ভাড়া দিয়েছে পঞ্চদীপ কনস্ট্রাকশনকে। এজন্য তারা রেলকে দিচ্ছে ছ’কোটি টাকা। হাওড়া কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করেছে সংস্থাটি। স্পেনসার্স, খাদিম, বাজার কলকাতার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়েছে সংস্থার। শিয়ালদহের এক কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কথায়, অতিমারী পরিস্থিতিতে কথাবার্তায় কিছুটা ছেদ পড়েছে। তবে ব্র্যান্ডেড সংস্থাগুলি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভিআইপি লাউঞ্জের প্রথম তলায় চোদ্দ হাজার বর্গ ফুটের এই মল গড়ে উঠছে। শিয়ালদহ নর্থ, সাউথ, মেন শাখার হাটরি সংখ্যা কম নয়। প্রায় কুড়ি লক্ষ। এই সংখ্যক যাত্রীদের একটা অংশ নিশ্চিতভাবে মলে আসবেন বলেই আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকতে থাকতে ভিড় এড়িয়ে কাজ শেষ করতে চাইছে রেল।
[আরও পড়ুন: CID’তেই আস্থা, হেমতাবাদের বিধায়ক মৃত্যুতে CBI তদন্তের আরজি খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের]
শুধু মলের কাজেই আটকে নেই শিয়ালদহ স্টেশন। সৌন্দর্যায়নেও লকডাউনকে কাজে লাগিয়েছে ডিভিশন। স্টেশনে প্রবেশের মুখে রং করা হয়েছে। পিলারে কলকা। ফলস সিলিং, এলইডি লাইট, গ্রানাইটের কভারে সাজানো হয়েছে স্টেশন। সাউথ কনকর্স গ্রানাইডে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে ম্যুরাল। আগের ৯এ, ৯বি প্ল্যাটফর্মের উলটো দিকে যেখানে ভিআইপিদের প্রবেশদ্বার তার পাশেই বসছে চলমান সিঁড়ি। যা দিয়ে যেতে হবে মলে। করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ। মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দি। এর মধ্যেই সেজে উঠছে শিয়ালদহ স্টেশন। ট্রেন চলা শুরু হলেই যা দেখে যাত্রীরা অবাক হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রেল কর্তারা।
[আরও পড়ুন: চোপড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ, অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি বাধা]
The post করোনা আবহে ভোলবদল শিয়ালদহের, জেনে নিন শতাব্দী প্রাচীন স্টেশনের কী পরিবর্তন হল appeared first on Sangbad Pratidin.