সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কাফের’ বা ‘বিধর্মী’দের বিরুদ্ধে জেহাদের পর এবার খোদ মুসলমানদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধঘোষণা করল ইসলামিক স্টেট। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে শিয়া মুসলিমদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: চাপের মুখে পদক্ষেপ! মায়ানমারে অন্তত ৫ হাজার গণতন্ত্রকামীকে মুক্তি দিতে চলেছে জুন্টা]
খামা নিউজ সূত্রে খবর, নিজেদের সপ্তাহিক মুখপত্র ‘আল-নাবা’-তে শিয়া মুসলিমদের হুমকি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট। সেখানে বলা হয়েছে, “শিয়া মুসলিমরা ভয়ংকর। বাগদাদ থেকে খোরাসান, বিশ্বের সমস্ত জায়গায় তাদের নিশানা করা হবে।” বিশ্লেষকদের মতে, ইরাক থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত আবারও শক্তি সংগ্রহ করতে শুরু করেছে সুন্নি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ (ISIS)। ইরাক ও সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক বাহিনী হতে পরাজিত হলেও ফের বিশ্বজুড়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছে আইএস। আর এবার শিয়া মুসলিমদের উপর হামলার ছক কষেছে তারা।
বিগত দিনে আফগানিস্তানে একাধিক শিয়া মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট। সম্প্রতি, কান্দাহারে একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস। ওই হামলায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৩০ জনের। বিশ্লেষকদের মতে, শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনকে মুসলিম বলে গণ্য করে না সুন্নি জঙ্গিরা। ফলে বরাবরই আফগানিস্তানে হাজারা জনগোষ্ঠীর মানুষরা তালিবান ও আইএস-এর হামলার শিকার হয়ে আসছে।
এদিকে, আইএসয়ের হুমকি তালিবানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ আফগানিস্তানে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর।