সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটাসঅ্যাপ (Whatsapp) চ্যাটে বাধা দেওয়ায় ঘুসি মেরে স্বামীর দাঁত ভেঙে দিলেন মহিলা। এমন অভিযোগে শিমলার থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। স্ত্রীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ‘নিগৃহীত’ স্বামী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। শিমলার থিওগ থানায় অভিযোগ দায়ের হয় শুক্রবার। পুলিশকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী মোবাইলে আসক্ত। ক্রমাগত হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার স্ত্রী যখন হোয়াটসঅ্যাপে মগ্ন ছিলেন, তখন তিনি বাধা দিতে যান। এতেই স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মেরে তাঁর দাঁত ভেঙে দেন। এরপরও রেহাই মেলেনি বলে অভিযোগ।
শোনা গিয়েছে, স্বামীকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেছেন শিমলার মহিলা। তারপর তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে সোজা থানায় হাজির হন ‘নিগৃহীত’ স্বামী। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভূক্ত করে থিয়োগ থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রাতারাতি অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকা, ৪ বছর বাদে ব্যাংকে গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া শ্রমিকের]
শিমলার পুলিশ সুপার মণিকা জানান, স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেন ওই মহিলা এমন কাজ করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। শোনা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। যেমন, কেন স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে বাধা দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি? কার সঙ্গে এত মন দিয়ে চ্যাট করছিলেন ওই মহিলা। ঘটনায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সমস্ত দিন খতিয়ে দেখে তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। মহিলাকে খুব শিগগিরিই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযোগকারী স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। এর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। মহিলা ও তাঁর স্বামীর সম্পর্ক কেমন ছিল, সেই দিকটি খতিয়ে দেখাও এই মামলায় প্রয়োজন বলে মনে করছে পুলিশ।