সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে (Pakistan) তুলোধনা করেছে ভারত। একটানে খুলে দিয়েছে পাকিস্তানের মুখোশ। ইসলামাবাদকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ‘ধুইয়ে’ দিয়ে দেশবাসীর মন জিতে নিয়েছেন স্নেহা দুবে (Sneha Dubey)। কিন্তু কে এই তরুণী, যিনি রাতরাতি খবরের শিরোনামে চলে এলেন?
রাষ্ট্রসংঘে (United Nation) দেশের প্রতিনিধি তথা ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। রাষ্ট্রসংঘে তাঁর বাগ্মিতায় মুগ্ধ গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং স্নেহা দুবে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ২০১২ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন গোয়ার এই তরুণী। একবারেই ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের কঠিন পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন স্নেহা। পূর্ণ করেছিলেন নিজের ছোট বেলার স্বপ্ন।
[আরও পড়ুন: ‘এক্ষুনি অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে দিক পাকিস্তান’, রাষ্ট্রসংঘে বেনজির আক্রমণ ভারতের]
১২ বছর বয়স থেকেই ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে (IFS) যোগ দেওয়া স্বপ্ন দেখতেন স্নেহা। সেই মতো নিজেকে তৈরিও করছিলেন। গোয়ায় স্কুল জীবন শেষ করে স্নেহা চলে গিয়েছিলেন পুণে। সেখানকার ফার্গুসন কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। তার পর সোজা দিল্লি। জেএনইউ-বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে এম ফিল ডিগ্রি করেন তিনি। এর পরই সরাসরি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু। ২০১১ সালে প্রথববার পরীক্ষায় বসেন তিনি। পরীক্ষার বাধা টপকে ২০১২ সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন স্নেহা। প্রথমে বিদেশমন্ত্রক, পরে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে মাদ্রিদে ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয় তাঁকে। ৭ বছর পর বর্তমানে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা।
আন্তর্জাতিক মহলে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখতেন স্নেহা। আর তার জন্য ছেলেবেলা থেকেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। বিদেশমন্ত্রকে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই পড়েছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে। জানিয়েছিলেন, দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে নিজের সেরাটাই দেবেন। আজ রাষ্ট্রসংঘে সেটাই করে দেখালেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, স্নেহার পরিবারের কেউ এর আগে সরকারি চাকরি করেননি। তাঁর বাবা বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। মা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা।
[আরও পড়ুন: ইমরানে খানে আস্থা নেই তালিবানেরও, পাক প্রধানমন্ত্রীকে ‘তোতাপাখি’ বলল জেহাদিরা]
গোয়ার সেই তরুণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা দেশ। নেটিজেনরা বলছেন, “পাকিস্তানের জোকারদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন স্নেহা। প্রতিটা শব্দ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বাছাই করা। গোটা বক্তব্যেই তথ্যপ্রমাণের প্রাচুর্য। অসাধারণ স্নেহা।”