সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়াতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের জিগির না তুলে সীমান্তে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরামর্শ দিলেন মৃত পাইলটের স্ত্রী। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগামে মিগ ১৭ চপার ভেঙে মৃত্যু হয় বায়ুসেনার ছয় আধিকারিকের। তার মধ্যে ছিলেন ৩৩ বছরের স্কোয়াড্রন লিডার নিনাদ মানদাভগানেও। গতকাল মহারাষ্ট্রের নাসিকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা যুদ্ধের জিগির তুলেছেন তাদের সীমান্তে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তাঁর স্ত্রী।
তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একটি প্রশ্নের জবাব দিতে তাঁর স্ত্রী বিজিতা মানদাভগানে বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভিতে অনেক কিছু হতে দেখছি। কখনও মিডিয়া দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করছে কখনও আবার করছে না। অনেকে স্লোগান তুলছেন। কিন্তু সেটা না করে আমার নিনাদ, উইং কমান্ডার অভিনন্দন ও শহিদদের জন্য সত্যিই কিছু করতে চান। তাহলে ছোট্ট একটা কাজ করুন, হয় নিজে সেনাবাহিনীতে যোগ দিন না হলে আপনাদের পরিবারের কাউকে যোগ দিতে বলুন। সেটা না পারলে আপনার আশেপাশে ছোট ছোট পরিবর্তনে অংশ নিয়ে দেশকে সাহায্য করুন। আপনি নিজের বাড়ির চারদিকে পরিষ্কার রাখুন, রাস্তায় থুতু ফেলা ও প্রকাশ্যে প্রস্রাব করা বন্ধ করুন, মহিলাদের হেনস্তা করা থেকে বিরত থাকুন। আমরা যুদ্ধ চাই না। আপনারা জানেন না যুদ্ধ কতটা ক্ষতি হয়। আমরা চাই না যে আরও নিনাদের মৃত্যু হোক। সোশ্যাল মিডিয়ার সৈনিকরা দয়া করে এসব বন্ধ করুন। আর সত্যিই যদি যুদ্ধ চান তাহলে সামনে এগিয়ে যান।”
[বায়ুসেনার ইতিহাসে নিজের জায়গা পাকা করলেন অভিনন্দন]
নাসিকের বোনসালা মিলিটারি স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঔরঙ্গাবাদের সার্ভিস প্রিপারাটরি ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন নিনাদ। ২০০৯ সালে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার উইংয়ে যোগ দেন। স্ত্রী বিজিতার পাশাপাশি দু’বছরের একটি মেয়ে রয়েছে নিনাদের।
The post সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ না করে সীমান্তে যান, কটাক্ষ মৃত স্কোয়াড্রন লিডারের স্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.