রাহুল চক্রবর্তী: অধীরের ‘কর্পোরেট’ ঘরে বসলেন না ‘ছোড়দা’৷ অধীরের ‘কর্পোরেট কালচার’ ভেঙে পুরনো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ঘরকেই ঠিকানা করলেন ‘ছোড়দা’। অধীর চৌধুরি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর বিধান ভবনের তৃতীয় তলকে ‘কর্পোরেট কালচার’-এ মুড়ে দেন। যে ঘরে অতীতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা বসেছেন, তা ছেড়ে সুসজ্জিতভাবে নতুন ঘর তৈরি হয়েছিল অধীরবাবুর জন্য। তাঁর সচিবালয়ের জন্যও আলাদাভাবে ঘর তৈরি করা হয়েছিল। এবার সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর ফের নতুন করে সাজছে বিধান ভবন। উল্লেখ্য, বিধান ভবন বা রাজ্য কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অন্তর্গত। যার চেয়ারম্যান সোমেন মিত্র। বিধান ভবনের পাঁচতলায় সোমেনবাবুর বসার ঘর রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার আগে তিনি ওই ঘরেই বসতেন। পাশেই রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক সচিব বাদল ভট্টাচার্যর ঘর।
[শহরের কোন গুদামে কত বাজি, নজরদারি শুরু পুলিশের]
২১ সেপ্টেম্বর সোমেন মিত্রকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ঘোষণা করে হাইকমান্ড। ওই দিন থেকে পাঁচতলায় বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ঘরেই বসতেন তিনি। দেবীপক্ষ পড়ার পর বুধবার ঘর বদল করলেন ‘ছোড়দা’। তবে বসলেন না অধীরের ফেলা যাওয়া ঘরে। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, বরকত গনি খান চৌধুরি, প্রণব মুখোপাধ্যায়রা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে যে ঘরে বসেছিলেন, সেখানেই বসার ব্যবস্থা করলেন সোমেনবাবু। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ঘরে নতুন রং হয়েছে। বসেছে ইন্দিরা গান্ধীর বড় ছবি। আর অধীর চৌধুরির সচিবালয়ের যে ঘর তৈরি হয়েছিল তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে নতুন করে বসার ব্যবস্থা হচ্ছে। আর অধীর চৌধুরির ফেলে যাওয়া ঘরে প্রদেশ কংগ্রেসের ১০ জন পদাধিকারীর জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা করছেন বর্তমান সভাপতি। সোমেনবাবুর বক্তব্য, “যে ঘরে কংগ্রেস কর্মীরা খোলা মনে আসতে পারতেন, সেখানেই আমি বসতে পছন্দ করি। তারজন্য হাই প্রোফাইল ঘরের প্রয়োজন হয় না।” পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মচারীদের মাসিক বেতনের জন্যও সোমেনবাবু বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে খবর।
[পঞ্চমের পাশেই স্থান দুই কিংবদন্তীর, শচীন ও কিশোরের মূর্তি বসছে শহরে]
এদিকে কংগ্রেস বিধায়কদের বায়োডাটা চেয়ে পাঠিয়েছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি। বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দল ইতিমধ্যে ২৬ জন কংগ্রেস বিধায়কের জীবনপঞ্জি তৈরি করে দিল্লির কাছে পাঠিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কংগ্রেস বিধায়কদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবরের জন্যই জীবনপঞ্জি চাওয়া হয়েছে। তাছাড়া কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে দিল্লি সরাসরি যোগাযোগের জন্যই বায়োডাটা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে অষ্টমীর দিন কলেজ স্কোয়ার পুজো মণ্ডপে আসার কথা ছিল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি ব্যস্ত। ফলত আসতে পারেননি। সেই জায়গায় রাহুল বাংলায় পাঠিয়েছিলেন সলমন খুরশিদকে। তিনি কলেজ স্কোয়ার-সহ তিনটি পুজো মণ্ডপে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি কলকাতায় আসবেন বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। রাজ্য সংগঠনকে শক্তিশালী করতে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছেন। আপাতত লোকসভা ভোটের আগে দলকে মজবুত করতে তৃণমূল ও সিপিএমের বিরুদ্ধেই পথে নামছে কংগ্রেস।
The post অধীরের ছেড়ে যাওয়া ঘরে বসলেন না সোমেন! appeared first on Sangbad Pratidin.