সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচণ্ড শব্দে কাঁপল আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। শব্দের অভিঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে ঝনঝন করে কেঁপে উঠে বহু বাড়ির জানলার কাচ। পরে জানা যায়, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে উৎপন্ন ‘সোনিক বুম’ বা ধ্বনিতরঙ্গই ছিল এর কারণ। রাজধানীর উপর উড়ে চলা একটি অজ্ঞাত বিমানকে ধাওয়া করছিল ফাইটার জেটগুলি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যাম সূত্রে খবর, রবিবার ওয়াশিংটনের আকাশে একটি অজ্ঞাত পরিচয় বিমানকে উড়তে দেখা যায়। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বারবার বার্তা পাঠালেও কোনও উত্তর আসেনি ‘Cessna 560 Citation V’ মডেলের ছোট্ট যাত্রীবাহী বিমানটি থেকে। তারপরই প্রোটোকল মেনে সেটিকে ধাওয়া করে মার্কিন ফাইটার জেটগুলি। বলে রাখা ভাল, দেশের রাজধানী হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসি-র আকাশে বিমান চলাচলে বেশকিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। বিশেষ করে, টুইন টাওয়ার হামলার পর থেকে হোয়াইট হাউস-সহ ডিসি-র ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমূল বদল এসেছে।
[আরও পড়ুন: সামরিক আদালতেই ইমরানের বিচার, ইঙ্গিত পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর]
ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসেই ছিলেন। তাঁকে গোটা পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী সেসনা বিমানটি ফ্লোরিডার ‘এনকোর মোটর্স অফ মেলবোর্ন’ নামের একটি সংস্থার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সংস্থাটির মালিক জানিয়েছেন, বিমানে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। টেনেসির একটি বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল প্যাসেঞ্জার জেটটি। গন্তব্য ছিল লং আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক। তবে অজ্ঞাত কারণে যাত্রাপথ বদলে ফেলে বিমানটি। অবশেষে ভার্জিনিয়ায় ভেঙে পড়ে সেটি।
বলে রাখা ভাল, যখন কোনও বস্তু শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে (সাউন্ড ব্যারিয়ার ভেঙে) বাতাসে ভ্রমণ করে তখন শক ওয়েভ সঙ্গে ধ্বনিতরঙ্গ তৈরি হয়। তাকেই সোনিক বুম বলা হয়। সোনিক বুমে প্রচুর পরিমাণে শব্দশক্তি উৎপন্ন হয়, যা মানুষের কানে বিস্ফোরণ বা বজ্রপাতের মতো শোনায়। সোনিক বুম মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারে এবং কিছু কাঠামোর সামান্য ক্ষতি হতে পারে । এর ফলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সুপারসনিক ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।