সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল উত্তর কোরিয়ার (North Korea) বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে খুন করা থেকে শিশুদের উপর নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানো-একাধিক অভিযোগ উঠেছে কিম জং উনের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আরও জানা গিয়েছে, জোর করে বামন মহিলাদের জরায়ু বাদ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
উত্তর কোরিয়ার ৫০০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট বানানো হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন তাঁরা। দেশছাড়া এই ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই ৪৫০ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। সেখানেই জানা গিয়েছে, ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া প্রশাসন। কারণ ঘরের মধ্যে নাচতে নাচতে দেশের প্রাক্তন শাসক কিম সুংয়ের ছবির দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শাস্তির খাঁড়া নেমে আসে ওই মহিলার উপর।
[আরও পড়ুন: পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ! প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আদালতে অভিযুক্ত ট্রাম্প]
এছাড়াও ভয়াবহ অত্যাচারের নানা বিবরণ উঠে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই রিপোর্টে। প্রত্যেকটি হাসপাতালের নার্সদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বামন মহিলাদের নামের তালিকা বানাতে হবে। সেই তালিকা ধরে প্রত্যেকের জরায়ু বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার কাজে মহিলা ও শিশুদের ব্যবহার করা হত বলেই জানা গিয়েছে এই রিপোর্টে। বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের শরীরেও জোর করে অস্ত্রোপচার করা হত, যেন তাঁরা সন্তানের জন্ম দিতে না পারেন।
সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “উত্তর কোরিয়ায় সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার বিপন্ন। যেভাবে সেদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, সেই প্রক্রিয়াও অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার কিমের (Kim Jung Un) দেশের সম্পর্কে এহেন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।