সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দলের বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাঁর বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে রয়েছে লড়াই। আর সেই লড়াই খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন বলেই রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরতে পারলেন। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই পেলেন ম্যাচের সেরার খেতাব। তাঁর ২১ বলে ৩৮ রানের সৌজন্যে টিম ইন্ডিয়া (Team India) প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৮৫ রান। ফলে আয়ারল্যান্ডের (Ireland) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩ রানে জিততে বেগ পেতে হয়নি। এমন মারমুখী ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরার খেতাবও পেলেন তিনি।
কিন্তু পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেই ঘটল বিপত্তি। রিঙ্কু তো ইংরেজিতে সড়গড় নন। তাই তাঁর হয়ে জবাব দিলেন জশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। তিনি বলেন, “দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। কারণ এটা আমার মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ। এবং মনেপ্রাণে চাইছিলাম যাতে ব্যাট করতে পারি। আসলে আইপিএল-এ যে ভাবে ইনিংস গড়েছিলাম, ঠিক সে ভাবেই এখানে খেলতে চেয়েছিলাম। জশপ্রীত বুমরাহ তেমনই নির্দেশ দিয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: ‘যা করেছি, বেশ করেছি! মোটেও অনুতপ্ত নই’, নিজের কৃতকর্ম নিয়ে মুখ খুললেন হরমন]
রিঙ্কু এবার ম্যাচের সেরা পুরস্কার নেওয়ার সময় কি তাঁর চিকচিক করে আসছিল? অনেক কিছু মনে পড়ে যাচ্ছিল রিঙ্কুর। বাবা খানচন্দ সিং স্থানীয় এলাকায় এলপিজি গ্যাস সরবরাহ করতেন। পাঁচ-ভাই বোনের সংসারে অভাব-অনটনের সঙ্গে মিতালি গড়েই জীবনের চলার পথ গড়তে হয়েছে বাঁ-হাতি এই ক্রিকেটারকে। এসবই পুরনো কথা। এটুকুতে যে রিঙ্কুর ব্যাপ্তিকে ধরা মুশকিল। এর বাইরে একটা অন্য রিঙ্কুও রয়েছে। যিনি দরকারে নিজের এলাকার ছেলেদের ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য অ্যাকাডেমি গড়ে দেন। আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপালে আগ্রাসী মেজাজ ধারণ করেন।
তাই তো অকপটে নাইট তারকা ফের বলে দেন, “এমন মুহূর্ত জীবনে দেখার জন্য গত ১০ বছর অনেক লড়াই করেছি। অবশেষে ফল পেলাম।”
আসলে রিঙ্কুরাই পারেন। মনে করিয়ে দেন, শাহরুখ খানের সেই বিখ্যাত ডায়লগ। ‘ক্যাহতে হ্যায় অগর কিসি চিজ কো দিল সে চাহো, তো পুরি কায়নাত উসে তুমসে মিলানে কি কোশিশ মে লাগ জাতি হ্যায়।’