স্টাফ রিপোর্টার: পরিকল্পনা মতোই সরাসরি জামশেদপুরেই (Jamshedpur FC) দলের সঙ্গে যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) নতুন বিদেশি আলেকজান্ডার প্যানটিচ (Aleksandar Pantic)। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচ খেলে ওঠার পরেরদিন রবিবার ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররা জামশেদপুর পৌঁছে গিয়েছিলেন। সোমবার বিকেলে হায়দরাবাদ থেকে প্রথম একাদেশের ফুটবলাররা জামশেদপুর পৌঁছান। ক্লেটন সিলভাদের (Cleton Silva) সঙ্গে এই পর্বে জামশেদপুর গেলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও (Carles Cuadrat)। এই দলের সঙ্গেই জামশেদপুর পৌঁছন আলেকজান্ডার প্যানটিচ।
শৌভিক চক্রবর্তীরা পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামবেন বৃহস্পতিবার (ISL 10)। পরপর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বলেই কুয়াদ্রাত হায়দরাবাদ থেকে আর কলকাতায় ফিরতে চাননি। সময় বাঁচাতেই সরাসরি দল নিয়ে গিয়েছেন জামশেদপুরে। তবে এখনই বলা সম্ভব নয় পরবর্তী ম্যাচেই কি পন্টিচকে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে। পাশাপাশি এটাও ঠিক ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে খেলিয়েও দিতে পারেন কুয়াদ্রাত। এরকম উদাহরণ আগেও রয়েছে। তবে সেটা পুরোপুরি নির্ভর করবে লাল-হলুদ কোচের উপর। দলের নির্ভরযোগ্য রক্ষণভাগের বিদেশি লুকাস পার্দো চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় তাঁর পরিবর্তে এই সার্বিয়ান ডিফেন্ডারকে দলে নথিভুক্ত করায় ইস্টবেঙ্গল।
[আরও পড়ুন: ভাঙল মালিঙ্গার রেকর্ড, টি-২০তে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি কে?]
পার্দোর অনুপস্থিতিতে রক্ষণ নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় ছিলেন লাল-হলুদ কোচ। রক্ষণে হিজাজি মাহেরের পাশাপাশি যদি এই অল্প সময়ের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবেন প্যানটিচ, সেটা কুয়াদ্রাতের জন্য ততই মঙ্গলের হবে। এই মরশুমে লিগে এখনও পর্যন্ত ছটি ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছে ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জয়ের পর আইএসএলের (ISL 2023-24) লিগ টেবিলে এখন অষ্টম স্থানে রয়েছেন ক্লেটন সিলভারা। সুপার সিক্সে ঢুকতে গেলে পরবর্তী ম্যাচ জয় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেদের জন্য।
সুপার কাপে দুরন্ত ছন্দে ছিল ইস্টবেঙ্গল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর লাল-হলুদ সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আইএসএলে সুপার সিক্সে পৌঁছানোর। কিন্তু নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড ও মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে হারের পর সুপার সিক্স নিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল তারা। যদিও হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে জিতে ফের সুপার সিক্সের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।
গত ম্যাচে বেশি গোল করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত বলেন, “এই ম্যাচে ক্লেটন ও ফেলিসিও সুযোগ পেয়েছিল আরও গোল করার। কিন্তু দুর্ভাগ্য, গোলগুলি করতে পারেনি। আশা করছি, পরের ম্যাচের জন্য এই গোলগুলি ওরা বাঁচিয়ে রেখেছে।”
গত মরশুমে চমৎকার ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন। গতবার তিনি ১২টি গোল করেছিলেন। চলতি মরশুমেও দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন। ইতিমধ্যেই তিনি ৭টি গোল করে ফেলেছেন। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা তিনি। রক্ষণে প্যানটিচ যোগ দেওয়ায় শক্তি বাড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি এখন কতটা নির্ভরতা দিতে পারেন, সেটাই দেখার।