shono
Advertisement

এগিয়ে থেকেও পারল না ইস্টবেঙ্গল, পিছিয়ে পড়েও দারুণ কামব্যাক মোহনবাগানের, রুদ্ধশ্বাস মেগা ডার্বি ড্র

এই ডার্বি যুছিল দুই কোচের মস্তিষ্কের লড়াই। মোহনবাগানের আন্তোনিয়ো হাবাস এবং ইস্টবেঙ্গলের কার্লেস কুয়াদ্রাতের। দিনের শেষে দু’জনেই সমান জায়গায়। ম্যাচের কিছুটা সময় যে রকম হাবাসের ক্ষুরধার বুদ্ধির নমুনা পাওয়া গিয়েছে, তেমনই দলের মধ্যে আগ্রাসী মানসিকতা এবং শেষ পর্যন্ত হার-না-মানার মানসিকতা ঢোকানোর নেপথ্যে রয়েছেন কুয়াদ্রাত।
Posted: 07:12 PM Feb 03, 2024Updated: 09:42 PM Feb 03, 2024

আইএসএলের মঞ্চে এতদিন ৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের সামনে এঁটে উঠতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে কার্লেস কুয়াদ্রাত দায়িত্ব নেওয়ার পর চাকা ঘোরালেন। মেগা ডার্বির আগে আন্তোনিও লোপেজ হাবাস তাঁর ডার্বি জয়ের পরিসংখ্যানের খতিয়ান দিয়েছিলেন। যা ছিল প্রায় হুঙ্কারের সমান। তবে শেষ পর্যন্ত ডার্বি রেকর্ড অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষত রেখেই মাঠ ছাড়লেন হাবাস। কারণ টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ ২-২ ব্যবধানে শেষ হল।

Advertisement

খেলা শেষ। এগিয়ে থেকেও পারল না ইস্টবেঙ্গল, পিছিয়ে পড়েও দারুণ কামব্যাক মোহনবাগানের, রুদ্ধশ্বাস মেগা ডার্বি ড্র। 

‘৮৬: খেলা ঘুরিয়ে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, লাল-হলুদের ডিফেন্সের ভুলে সমতা ফেরাল সবুজ-মেরুন। মনবীরের ক্রস থেকে ২-২ করে ফেললেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে গোল করলেন তিনি। এর পর জোরাল শটে গোল করেন পেত্রাতোস। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য ফাউলের আবেদন করেছিল। কিন্তু রেফারি তাতে গুরুত্ব দেননি।

 

‘৭৩: মাঠে নেমেই ব্যবধান বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন এডউইন বংশপাল। কিন্তু পারলেন না। ওপেন নেট থেকে গোল মিস করলেন তিনি। 

‘৬৯: দীপকের জায়গায় সুমিত। অনিরুদ্ধ থাপার জায়গায় জেসন কামিন্স। জোড়া বদল করতে বাধ্য হলেন হাবাস। অন্যদিকে মহেশের জায়গায় ভিপি সুহের এবং অজয়ের জায়গায় এডউইন বংশপাল মাঠে নামলেন। 

‘৬৫: নাওরেম মহেশের চোট। যদিও মাঠে দীর্ঘ সময় তাঁর চিকিৎসা চলায় ক্ষুব্ধ মোহনবাগান শিবির। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকায় সময় নষ্টের ‘অভিযোগ’ তুলছেন হাবাস। মহেশের জন্য মাঠে স্ট্রেচার।

‘৬৩: সায়নের সঙ্গে পেত্রাতোসের প্রথমে ঝামেলা শুরু হয়। সেখান থেকে সেই ঝামেলা বড় আকার নেয়। দুই দলের প্লেয়াররাই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। সায়ন মাঠে মাথা গরম করছে দেখে, কুয়াদ্রাত তাঁকে তুলে নেন। পরিবর্তে নামান বিষ্ণুকে। এদিকে পেত্রাতোস ফ্রি-কিক নিলে ইস্টবেঙ্গল তা ক্লিয়ার করে দেয়।

‘৬২: সায়নকে তুলে দিলেন কুয়াদ্রাত। মাঠে নামলেন বিষ্ণু। অন্যদিকে নিশু কুমারের জায়গায় মাঠে নামলেন মন্দার রাও দেশাই। 

‘৫৭: গোল হজমের পর ফের ধাক্কা খেল মোহনবাগান। হলুদ কার্ড দেখার জন্য পরবর্তী ম্যাচে খেলতে পারবেন না সাদিকু। 

‘৫৫: এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল, ফের লাল-হলুদ গ্যালারিতে মশাল জ্বালিয়ে দিলেন ক্লেটন সিলভা। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। 

 

‘৫৩: মহেশ নাওরেমকে মেরেছিলেন দীপক টাঙরি। পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল। রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কির জন্য হলুদ দেখলেন দীপক। ফলে আগামী ম্যাচে নেই দীপক। 

‘৫২: হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে জর্জরিত ব্রেন্ডন হ্যামিল। বাধ্য হয়েই তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নিতে বাধ্য হলেন হাবাস। তাঁর জায়গায় মাঠে নামলেন গ্লেন মার্টিন্স। 

‘৫১: মাঠে পড়ে রয়েছেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। তাঁকে জোরাল ফাউল করেন অজয় ছেত্রী। হলুদ কার্ডও দেখলেন লাল-হলুদের গোলদাতা। 

‘৫০: শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। শুরুতেই মনবীর সিংকে মাঠে নামালেন হাবাস। মাঠের বাইরে কিয়ান নাসিরি।  

৪৯’: প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ম্যাচের ফলাফল ১-১। 

‘৪৪: লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছে লাল-হলুদ। তবে দ্বিতীয় গোল এখনও অধরা নন্দকুমারদের। তিন মিনিটের অতিরিক্ত সময় দিলেন রেফারি। 

‘৪০: কিয়ান নাসিরির ক্রস থেকে বক্সে বল পেয়ে যান সাদিকু। কিন্তু তার পরেও গোল বল রাখতে পারেননি তিনি। সাদিকুর শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। 

‘৩৮: ম্যাচের আগের দিনও নন্দকুমারকে নিয়ে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিলেন সুভাশিস। তাঁকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টায় হলুদ কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক। রেফারি তাঁকে সতর্ক করলেন। 

‘৩৪: প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খেলায় ফিরেছে মোহনবাগান। গোল শোধ করার পর থেকে চাপ বাড়াচ্ছে হাবাসের ছেলেরা। লাল-হলুদ বক্সে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে এনেছেন কিয়ান নাসিরি, দিমিত্রি পেত্রোতোসেরা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল এখনও করতে পারেনি সবুজ-মেরুন। 

‘২৩: সাদিকুকে লক্ষ্য করে শুভাশিস লং বল বাড়ান। কিন্তু গিল সেটিকে সহজেই বাঁচিয়ে দেন। এই ঘটনার এক সেকেন্ড পরেই সাদিকু বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নেন। সেটি লাল-হলুদের কিপার কিপার গিল সেভ করেন। এখনও ফলাফল ১-১। 

‘১৮: এবার চোটের কবলে সাউল ক্রেসপো। তাঁর বদলে সায়ন ব্যানার্জিকে নামালেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। এদিকে নাওরেম মহেশের সঙ্গে ট্যাকলে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন কিয়ান নাসিরি।

‘১৭: দারুণ কামব্যাক, সাদিকুর গোলে সমতা ফিরিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে পালটা দিল মোহনবাগান। ব্রেন্ডন হ্যামিলের ক্রস ডিফেন্ডারদের আগে পায়ে লাগান সাদিকু। পোস্ট ঘেঁষে বল গোলে ঢোকে। ফলে এই মুহূর্তে ফলাফল ১-১। 

 

‘১৪: শুরুতেই গোল পেয়ে আরও চাপ বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে আরও দু’টি আক্রমণ তুলে এনেছে লাল-হলুদ। থিতু হওয়ারই সময় পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন। রক্ষণের অবস্থাও খুব ভালো নয়। 

‘১৩: চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন তারকা ডিফেন্ডার। তাঁর জায়গায় মাঠে নামলেন আমনদীপ। 

‘৯: বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেলেন আনোয়ার আলি। সবুজ-মেরুনের চাপ বাড়ছে। 

‘৬: আক্রমণে উঠছিল মোহনবাগান। দুর্দান্ত মুভ। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি হল না। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ১-০ ব্যবধানে।

‘৩: অজয় ছেত্রীর গোলে শুরুতেই এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল, চাপে মোহনবাগান।  বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে বল বাড়ান নিশু কুমার। ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন তরুণ অজয়। বাগানের ডিফেন্ডাররা দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন। অজয় গোলের সামনে বল পেলেও, সেটা প্রতিরোধ করার তাগিদ সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের মধ্যে দেখা গেল না। যেন ঘুমিয়ে ছিল বাগানের ডিফেন্স। 

 

সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট: মাঠে নেমে পড়ল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। আইএসএলের মেগা ডার্বির কিক অফ।

চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পর ফিরছেন মোহনবাগানের তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। দেখে নিন মোহনবাগানের প্রথম একাদশ। 

জোড়া হলুদ কার্ডের জন্য মেগা ডার্বিতে নেই সৌভিক চক্রবর্তী। দেখে নিন লাল-হলুদের প্রথম একাদশ। 

ক্লেটনের জন্মদিন

ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার জন্মদিন। আর এমন দিনেই কলকাতা ডার্বি। তাঁর জন্য সেরা উপহার কী হতে পারে, আন্দাজ করাই যায়। 

হাবাস বনাম কুয়াদ্রাতের মস্তিষ্কের লড়াই

কোচ হিসেবে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস এবং কার্লেস কুয়াদ্রাত এখনও পর্যন্ত আইএসএলে পাঁচ বার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে তিন বার জিতেছে হাবাসের দল ও একটিতে জিতেছেন কুয়াদ্রাত, একবার ড্র হয়েছে। হাবাসের দল তিন বারই জিতেছে হোম ম্যাচে।

আইএসএলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ডুয়েলের ইতিহাস

আইএসএলে গত তিন মরশুমে কলকাতার দুই প্রধান মুখোমুখি হয়েছে মোট ছবার। সব ম্যাচেই জিতেছে সবুজ-মেরুন। ইস্টবেঙ্গল এই মঞ্চে এখনও পর্যন্ত ডার্বি যুদ্ধে জিততে পারেনি। দুই দলের দ্বৈরথে মোট ১৭ গোল হয়েছে। মোহনবাগান করেছে ১৫টি এবং ইস্টবেঙ্গল করেছে মাত্র দু’টি। সব মিলিয়ে এই মরশুমের আগে পর্যন্ত টানা আটটি ডার্বিতে হেরেছে লাল-হলুদ। এক তরফা আধিপত্য রেখে গিয়েছিল বাগান। এই বছর অবশ্য ডুরান্ড কাপ এবং সুপার কাপ মিলিয়ে দুই দলের তিন বার মুখোমুখিতে ২-১ এগিয়ে লাল-হলুদ বাহিনী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement