ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: চতুর্থীতেই পুজোর উপহার পেয়ে যাবেন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। শিলিগুড়িতে ওই দিনই ঠিক হবে লিগ যাচ্ছে কার হাতে। রবিবারের ডার্বির জন্য সেজে উঠছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামও।
[ডার্বির আগেই প্লাজার হ্যাটট্রিক, টালিগঞ্জকে পাঁচ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল]
বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বড় ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। মাঠের আসনসংখ্যা ৩৫ হাজার। তবে নিরাপত্তার কারণে ২৭ হাজার টিকিট দেওয়া হবে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখভাল করে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। পরিষদ সূত্রে খবর, টিকিটের ৩৩ শতাংশ মোহনবাগানকে দেওয়া হবে। বাগানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে পাঁচটি গ্যালারি। প্রায় মাস দেড়েক আগে এই স্টেডিয়ামে শিলিগুড়ির স্থানীয় লিগের খেলা হয়েছিল। তবে বর্ষার কারণে মাঠের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে ঘাস কাটা শুরু হয়েছে। রোদে মাঠ খানিকটা শুকিয়েছে। তবে নরমভাব রয়ে গিয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘায় অবশ্য বালির অংশ বেশি। শুক্রবারই দুই দল চলে যাচ্ছে শিলিগুড়িতে। ইস্টবেঙ্গল উঠবে সেবক রোডের একটি হোটেলে। বাগান থাকবে সেবক রোডের অপর প্রান্তে। শিলিগুড়ি ইস্টবেঙ্গলের পয়মন্ত হিসাবে ধরা হলেও শেষ ডার্বিতে কিন্তু জিতেছে বাগান। সেবার সোনি নর্ডি ও আজহারউদ্দিনের গোলে আইলিগের ম্যাচে লাল-হলুদকে থামিয়ে দিয়েছিল সঞ্জয় সেনের দল। কলকাতা লিগের ডার্বিতে অবশ্য দু-দলের বেঞ্চে অনেক বদল এসেছে। টিমও আগেরবার থেকে অনেকটা আলাদা। শঙ্করলাল চক্রবর্তী বনাম খালিদ জামালের মগজাস্ত্রের লড়াইয়েরও এবার সাক্ষী হবে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
[পিয়ারলেসকে হারিয়ে ডার্বির উত্তাপ বাড়িয়ে দিল মোহনবাগান]
পিয়ারলেসকে হারিয়ে চাঙ্গা বাগান। অন্যদিকে মঙ্গলবার টালিগঞ্জকে পাঁচ গোল দিয়ে ফুটছে লাল-হলুদও। দুই দলের স্ট্রাইকাররা গোলের মধ্যে থাকায় সমর্থকরা এখন থেকেই ফুটছেন। দু-দলের ফ্যান ক্লাবগুলি বৃহস্পতিবার টিকিট তোলার জন্য তৈরি হয়েছে। কলকাতা থেকেও অনেক সমর্থক যাবেন। লিগের শেষ ম্যাচ যারা জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন। এক বছরে এই নিয়ে তিনবার শিলিগুড়িতে খেলবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। এর আগে আই লিগের জোড়া ডার্বি হয়েছিল এই মাঠে। এবার কলকাতার লিগের চূড়ান্ত লড়াই হবে কাঞ্চনজঙ্ঘায়। যুযুধান শিবিরের এই আগ্রহ দেখে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের আশা মাঠ ভরে যাবে।
