সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন টুইট করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন। আর একজন, ভারতে সফরকারী দেশজ টিমকে পরামর্শ দিলেন কাঁদুনি না গেয়ে সোজা বলগুলো খেলার উপায় বার করতে।
দু’জনেই প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। প্রথমজন, মাইকেল ভন (Michael Vaughan)। দ্বিতীয়জন, কেভিন পিটারসেন।
প্রথমে, ভনের ‘কীর্তি’তে আসা যাক। টুইটারে একটা বিতর্কিত ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছেন। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাঠে লাঙল দিয়ে চাষ হচ্ছে। যার সঙ্গে ভনের টুইট, ‘চতুর্থ টেস্টের পিচ প্রস্তুতি দারুণভাবে চলছে। কিউরেটর বলছেন, বল দারুণ মুভ করবে। পিচে ভাল বাউন্স থাকবে। আর পঞ্চম দিনে টার্নও পাওয়া যাবে।’ পুরোটাই হয়তো রসিকতা করে করা। কিন্তু ভনের টুইট খুব ভালভাবে নেননি ক্রিকেট সমর্থকরা। আসলে আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন ভন। এবং এটা অনেকের কাছেই ‘নিম্নরুচির’ খোঁচা বলে মনে হচ্ছে।
পিটারসেন (KP) আবার পিচ নয়, সোজাসুজি কাঠগড়ায় তুলছেন ইংল্যান্ড টিমকে। টিমের মানসিকতাকে। বলছেন, “শুনলাম, ইংল্যান্ডের কোচ সিলভারউড নাকি ভাবছে যে আইসিসির কাছে পিচ নিয়ে অভিযোগ জানাবে। কাঁদুনি গাইছে পিচ নিয়ে। এর চেয়ে জঘন্যতম মনোভাব আর কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। ইংল্যান্ড কোচের মনে রাখা দরকার, ও যদি কারও দিকে একটা আঙুল তোলে, তাহলে ওর দিকেও কিন্তু চারটে আঙুল উঠবে।”
[আরও পড়ুন: শক্তিশালী মুম্বইয়ের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নভঙ্গ এটিকে মোহনবাগানের]
তিনি বর্তমান ইংল্যান্ড টিমে খেললে, আহমেদাবাদ টেস্টের পর কী করতেন, সেটাও বলে দিয়েছেন পিটারসেন। “পরিষ্কার বলতাম, দেখো আমরা খারাপ খেলেছি। আমাদের উচিত যে সময়টা পাচ্ছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে শেষ টেস্টে আরও প্রস্তুত হয়ে নামা। যাতে পরের টেস্টটা জেতা যায়,” বলে দিয়েছেন কেপি। “কাঁদুনি না গেয়ে, পিচ নিয়ে অভিযোগ না করে, আইসিসির কাছে যাওয়ার কথা না ভেবে, আমি এটাই ভাবতাম। ঠিক আছে, অধিকাংশ আউট সোজা বলে হয়েছে। তা, নেটে যাও, গিয়ে চেষ্টা করো, কী করে সেটাকে আটকানো যায়। হাতের ব্যাটটাকে ব্যবহার করো সোজা বলগুলো খেলার জন্য।”
এদিকে, গুজরাতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের (Narendra Modi Stadium) পিচ দেখে মোটামুটি অগ্নিশর্মা প্রাক্তন ইংল্যান্ড স্পিনার মন্টি পানেসরও। তাঁর মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে আহমেদাবাদ পিচের উন্নতি না ঘটলে তাদের ম্যাচ দেওয়াই উচিত নয় আইসিসির! “টেস্ট ম্যাচটাকে তো মোটামুটি ক্লাব ক্রিকেটের পর্যায়ে নামিয়ে আনা হল। শনিবার করে ইংল্যান্ডে ক্লাব ক্রিকেট হয়। তা, সেই ক্লাব ক্রিকেটে আমরা বল করে একটা টিমকে একশো অলআউট করে দিই। পরে যে টিমটা ব্যাট করে, তারা আবার সেই রান তাড়া করতে মুশকিলে পড়ে যায়। কারণ পিচে বল ঘুরতে শুরু করে। আমার মতে, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচগুলো আরও লম্বা হওয়া উচিত। কারণ, সেই স্টেডিয়ামের উইকেট কতটা ভাল, লোকে তো সেটাও দেখতে চায়। স্টেডিয়ামটাকে দেখুন। কী দুর্ধর্ষ স্টেডিয়াম। আর সেখানে কি না দু’দিনে টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়ে যাচ্ছে! ন’শো বলের মধ্যে চারটে ইনিংস গুটিয়ে যাচ্ছে? এটা কি উচিত?” এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন রুষ্ট পানেসর। এমনকী পিচ ঠিক না হলে ভারতের পয়েন্ট কাটার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।