সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে একসময়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। পরপর উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে ফেলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সেই সময় জুটি বেঁধে ম্যাচের হাল ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষ ওভারে আউট হয়ে গেলেও ম্যাচ জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জাড্ডু। ২৯ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষে তাঁকে সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মুখোমুখি হতে হল। প্রসঙ্গত, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময়ে জাদেজাকে নিম্নমানের খেলোয়াড় হিসাবে কটাক্ষ করেছিলেন মঞ্জরেকর। তাঁকে পালটা জবাব দিয়েছিলেন জাদেজাও। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন বাঁ হাতি জাদেজা।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন জাদেজাকে আক্রমণ করে মঞ্জরেকর বলেছিলেন, “ও আসলে অর্ধেক খেলোয়াড়, কোনও কাজটাই ঠিকঠাক পারে না।” তাঁর এই মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা হয় নেটদুনিয়ায়। এহেন কটাক্ষের জবাব দেন জাড্ডুও। তিনি বলেন, “অর্ধেক খেলোয়াড় হয়েও আপনার দ্বিগুণ সংখ্যক ম্যাচ খেলেছি। এখনও সসম্মানে খেলে যাচ্ছি। অন্য কেউ যদি সাফল্য পেয়ে থাকে, তাকে সম্মান করতে শিখুন। আপনার ভার্বাল ডায়েরিয়া শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।”
[আরও পড়ুন: ‘ওরা আমাদের চেয়েও বেশি চাপে ছিল’, দাবি ভারত-পাক ম্যাচের নায়ক হার্দিকের]
এহেন তিক্ত অভিজ্ঞতার পরে প্রকাশ্যে দু’জনকে কথা বলতে দেখা যায়নি। কিন্তু পেশাগত বাধ্যবাধকতার কারণেই ভারত-পাক ম্যাচের পরে তাঁদের মুখোমুখি হতে হল। তখনই সঞ্জয় বলেন, “আমার সঙ্গে এখন রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথমে প্রশ্ন করতে চাই, আমার সঙ্গে কথা বলতে তোমার কোনও অসুবিধা নেই তো জাড্ডু?” পুরনো অভিজ্ঞতার কথা টেনে আনেননি জাড্ডুও। তিনি হাসিমুখেই মঞ্জরেকরকে উত্তর দেন, “হ্যাঁ অবশ্যই। কথা বলতে কোনও সমস্যা নেই।” এরপরে দু’ জনেই হেসে ওঠেন। তাঁদের কথোপকথনের এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২টি চার এবং ২টি ছয় মেরেছেন জাডেজা। হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে ৫২ রানের জুটি বাঁধেন তিনি। শেষ ওভারে ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয়। ম্যাচের শেষে জাড্ডু বলেছেন, “ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম আমরা। পাকিস্তানের বোলিং খুবই ভাল। আমিও খেলাটা শেষ করে আসতে পারতাম কিন্তু হার্দিক খুবই ভাল খেলেছে। ঠান্ডা মাথায় নিজের মতো করে শট খেলছিল হার্দিক। শেষ পর্যন্ত ও ম্যাচ জিতিয়েছে বলে আমি খুবই খুশি।”