শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সরকারি চাকরিজীবী পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে মেয়ের। স্বাভাবিকভাবেই কনেপক্ষ খুশি। আয়োজনে ছিল না কোনও খামতি। কিন্তু সেই খুশি দীর্ঘস্থায়ী হল না। বিয়ের পরদিনই জলপাইগুড়ির বাসিন্দা পাত্র জানলেন তাঁর চাকরি আর নেই! তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বর-কনের ছবি। নেটিজেনরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তাঁদের। তবে মুখে কুলুপ পরিবার ও প্রতিবেশীদের।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরুর পর দফায় দফায় চাকরি খুইয়েছেন বহু স্কুল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। ফলে বেআইনি পথে যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলেরই কম-বেশি দুশ্চিন্তা তো ছিল। সেই তালিকায় ছিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দা প্রণব রায়। সূত্রের খবর, ২০১৭ সাল থেকে জলপাইগুড়ির রাজডাঙা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর বিয়ে। ধুমধাম করে সারেন বিয়ে।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা, কোন কোন জেলায় পড়বে প্রভাব?]
বিয়ে সেরে শুক্রবার বউকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন প্রণব।ওইদিনই নিয়োগে গরমিল থাকায় ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে আসে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন তাঁদের তালিকা। দেখা যায়, সেখানে নাম রয়েছে প্রণব রায়েরও। বিষয়টা জানাজানি হতেই প্রণব রায়ের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লিখেছেন, “বৃহস্পতিবার বিয়ে, শুক্রবার গেল চাকরি, শনিবার বউভাত।” কেউ আবার লিখেছেন, “ফুলশয্যা নয় কন্টকশয্যা হবে।” কেউ লিখেছেন, “আদৌ ফুলশয্যা হবে তো?” প্রবল ট্রোলের স্বীকার নবদম্পতি। এ বিষয়ে রাজাডাঙা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজিত দত্ত বলেন, “আইন নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।”