রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আজ মহাষষ্ঠী। দেবী দুর্গার বোধন। কিন্তু রবিবার রাত পর্যন্তও বিজেপির দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল না। পরিস্থিতি যা, তাতে সোমবার বিকেলে পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাতেই।
বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Elections) ধাক্কা খাওয়ার পর এ বছর দুর্গাপুজো (Durga Puja) করায় খুব একটা উৎসাহী ছিলেন না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শাস্ত্রীয় বিধান বলছে, একবার করলে, অন্তত পরপর তিনবার পুজো করতেই হয়। সেই রীতির গ্যাঁড়াকলে ফেঁসেই শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুজো করতে নিমরাজি হতে হয়েছে সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষদের। সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে পুজোও হচ্ছে ‘নমো নমো’ করে। গতবারের সেই ধুমধাম, জাঁকজমকের প্রায় কিছুই নেই সেখানে।
[আরও পড়ুন: স্রেফ মজা! মদ্যপ অবস্থায় ব্রিজ থেকে সারমেয়কে নদীর জলে ফেলে দিল তিন যুবক, তারপর…]
গতবার সামনে বিধানসভা ভোট থাকায় বিজেপির সর্বোচ্চ মহলের ফোকাসে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। সেই কারণে রাজ্য বিজেপির পুজো উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ বছর শেষ মুহূর্তে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বোধনের জন্য জে পি নাড্ডাকে চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। এজন্য নয়াদিল্লির দীনদয়াল মার্গের সদর দপ্তরে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সোমবার দুপুর ১টা থেকে ২টো বা বিকেল ৪টে থেকে ৫টায় পুজো উদ্বোধনের জন্য সর্বভারতীয় সভাপতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত পর্যন্তও নাড্ডার পুজো উদ্বোধন করা নিয়ে কোনও উত্তর আসেনি দিল্লি থেকে। ফলে বিকল্প উদ্বোধনের পথ বাছাই করতে এদিন একদফা আলোচনা সারতে হয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতাদের। সেখানেই ঠিক হয়েছে, সর্বভারতীয় সভাপতিকে না পাওয়া গেলে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই উদ্বোধন করবেন। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সকালে পুজোমণ্ডপে যাবেন। তারপর তিনি মেদিনীপুরে গিয়ে একাধিক পুজো উদ্বোধন করবেন।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে আগামী উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, দুই সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো প্রমুখ। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপনির্বাচনের থেকেও বেশি সময় গিয়েছে পুজো নিয়ে আলোচনায়।