দুলাল দে: সুপার কাপই ডেড লাইন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের (Stephen Constantine) জন্য। সুপার কাপে মারাত্মক কিছু অঘটন না ঘটলে স্টিফেনের পরের মরশুমে কোচ থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মানে, চ্যাম্পিয়ন না হলেও হবে। অন্তত শেষ চারে যেতে পারলেও পরের মরশুমের কোচ হিসেবে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ব্রিটিশ কোচের। কিন্তু সুপার কাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে লাল-হলুদ থেকেও বিদায় ঘটবে স্টিফেনের।
আইএসএলে (ISL) এই মরশুমে দলের পারফরম্যান্স দেখে ইতিমধ্যেই কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ব্যাপারে নিজেদের আপত্তি জানিয়ে দিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। এমনকী স্টিফেনের জায়গায় কাকে কোচ করা যায়, তা নিয়েও কিছু কোচের তালিকা দলের ইনভেস্টর ইমামি কর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে ক্লাব। কিন্তু ডার্বির আগে পর্যন্ত স্টিফেনের ব্যাপারে মারাত্মক বিরূপ ছিলেন না ইমামি কর্তারা। কারণ, গত দু’মরশুম থেকে এই মরশুমে স্টিফেনের কোচিংয়ে বেশি সংখ্যায় ম্যাচ জিততে শুরু করেছিল লাল-হলুদ। অপেক্ষা ছিল ডার্বির জন্য। ভাবা হয়েছিল, ডার্বিতে জিততে না পারলেও, যদি আটকে দেওয়া যায় মোহনবাগানকে। তাহলে পরের মরশুমের জন্য রেখে দেওয়া হবে স্টিফেনকে। কিন্তু ডার্বি হার।
[আরও পড়ুন: কোহলিকে রানে ফেরাতে পারে আহমেদাবাদের পিচ, মনে করছেন আগরকর]
সমর্থকদের কোচের বিরুদ্ধে চলে যাওয়া। ক্লাবেরও বিরূপ মনোভাব জানানো, সব মিলিয়ে সব কিছুই আপাতত স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে পরের মরশুমের কোচ রাখার বিরুদ্ধে। তবুও ইমামি কর্তারা এখনই স্টিফেন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, সামনে সুপার কাপ থাকার জন্য। এই মুহূর্তে স্টিফেন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে তা সুপার কাপের আগে দলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অপেক্ষা করা হচ্ছে সুপার কাপের পারফরম্যান্সের জন্য।
আপাতত ইনভেস্টর কর্তাদের যা মনোভাব, তাতে সুপার কাপের শেষ চারে চলে গেলেও স্টিফেনকে পরের মরশুমে রাখার জন্য একটা চেষ্টা করতে পারেন ইনভেস্টর ইমামি কর্তারা। কিন্তু শুরুতেই বিদায় নিলে স্টিফেনের আর থাকার কোনও সম্ভাবনাই নেই। আর এই সব কারণেই পরের মরশুমের দল নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করলেও, কোচ ঠিক না হওয়ায় এই মুহূর্তে ক্লেটন ছাড়া বিদেশি ফুটবলারের চুক্তির ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল।
এই মরশুমে দারুণ ফর্মে থাকা ক্লেটনের সঙ্গে লাল-হলুদে আরও এক মরশুমের চুক্তির সিদ্ধান্তর পিছনে স্টিফেনের কোনও ভূমিকা ছিল না। ক্লাব-ইনভেস্টর দু’পক্ষই চেয়েছে ক্লেটনকে আরও একটা মরশুম রেখে দিতে। কিন্তু বাকি আর কোনও বিদেশির সঙ্গেই চুক্তি বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনিতে ক্লাব এবং ইনভেস্টর কোনও পক্ষই ক্লেটন বাদে অন্য কোনও বিদেশিকে পরের মরশুমের জন্য রাখতে আগ্রহী নয়।
পরিকল্পনা হল, পরের মরশুমে বিদেশ থেকে নতুন কোনও ফুটবলার না এনে, আইএসএলে খেলা অন্য কোনও দলের বিদেশির সঙ্গে চুক্তি করা। তবে ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেস নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। ইভানের সঙ্গে দুই মরশুমের চুক্তি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। সেক্ষেত্রে হয় ইভানকে রেখে দিতে হবে, নাহলে পুরো বছরের টাকা মিটিয়ে ছাড়তে হবে। কিন্তু ইভানের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, নতুন কোচের সঙ্গে আলোচনা না করে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গলে। এরম বহু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ক্লাব এবং ইনভেস্টর প্রতিনিধিদের নিয়ে যে বোর্ড তৈরি হয়েছে, সেই বোর্ড মিটিং সম্ভবত ২৩ মার্চ হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ধোনির শেষ আইপিএল স্মরণীয় করে রাখবে সিএসকে, বিশ্বাস প্রাক্তন অজি তারকা হেডেনের]