সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বের আকাশে ঘন হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। গত ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। এদিকে তাইওয়ানের উপরে হামলা করতে পারে চিন, সেই আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। যা উসকে দিচ্ছে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনাও। এহেন পরিস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘নেচার ফুড’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি আধুনিক বিশ্ব পরমাণু যুদ্ধের সাক্ষী হয় তাহলে প্রাণ হারাতে পারেন ৫০ কোটি মানুষ!
রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৬টি সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয় ধরাচ্ছে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমেই তলানিতে নামতে থাকা সম্পর্ক। ফলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো চরম সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে। আর সেক্ষেত্রে এমনও হতে পারে, পরমাণু যুদ্ধের ফলে পৃথিবী থেকে মুছে যেতে পারে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ।
কেবল মৃত্যুমিছিলই নয়, আমেরিকা-রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধ চরম আকার নিলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ফসলের উৎপাদন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। একই ভাবে অপেক্ষাকৃত ছোট সংঘাতও হাতে পারে। সেক্ষেত্রেও ফসল উৎপাদন বিপন্ন হতে পারে। যেমন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হলে অন্তত ৭ শতাংশ হারে হ্রাস পাবে ফলন।
আর এই দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকার পক্ষে সওয়াল করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সঞ্চয় বাড়ালেও বড় আকারের যুদ্ধ হলে তাতেও রেহাই মিলবে না বলেই আশঙ্কা তাঁদের। আর তাই এই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক অ্যালান রোবক, যিনি রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকও, তিনি বলছেন, ”এই তথ্য আমাদের একটা কথাই বলে। যে করে হোক, পরমাণু যুদ্ধকে বাস্তব না হতে দেওয়াই আমাদের কাজ।”