shono
Advertisement

অতিরিক্ত পরিশ্রমের সত্ত্বেও মিলছে না লাভ, মুর্শিদাবাদে বন্ধের মুখে আখ চাষ

দাম বাড়ছে গুড়ের।
Posted: 03:59 PM Mar 29, 2022Updated: 03:59 PM Mar 29, 2022

চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: বছর দশেক আগেও গ্রাম বাংলার একাধিক প্রান্তে এই মরশুমে বিপুল পরিমাণ আখের চাষ হত। গ্রামের আনাচে-কানাচে ভরে উঠত নতুন গুড়ের সুবাসে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম ও জলের অভাবে সেই সব এলাকাগুলোয় এক কথায় প্রায় বন্ধের পথে আখ চাষ।

Advertisement

বড়ঞার কৃষকরা জানাচ্ছেন, সারা বছরের মধ্যে দশ মাস ধরে এই আখ চাষ করতে হয়। বীজ রোপণ থেকে আখ তৈরি পর্যন্ত কারও কারও এক বছর সময় লাগে। তাঁদের অভিযোগ, অন্যান্য ফসলের থেকে প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রমের এই চাষ করে ও মিলছে না ন্যায্য মূল্য। চাষ করতে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দরকার সেই পারিশ্রমিকটুকুও পাচ্ছেন না আখ চাষিরা। আর সেই কারণেই কার্যত মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখন প্রায় বন্ধের পথে এই এই আখ চাষ।

[আরও পড়ুন: ছিল সবুজ, হয়ে গেল সাদা, রাতারাতি নারকেল গাছের পাতার রং বদল নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা]

সেই কারণেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার কৃষকরা আস্তে আস্তে আখ চাষের জায়গায় সারা বছর ধরে চাষাবাদ করছেন অন্য কিছু ফসলের। ফলে কার্যত দিন দিন যেমন বাড়ছে গুড়ের দাম। কান্দি মহকুমা কৃষি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কান্দি মহকুমার মধ্যে সব থেকে বেশি উৎপাদন হয় বড়ঞা থানা এলাকায়। এরপর ভরতপুর ব্লকে। এলাকায় বড়ঞার সুন্দরপুর বাহাদুরপুর কয়থা, পচিপাড়া সেনাই, প্যাটারি, তারাপুর, মামুদপুর, ভরতপুর থানা এলাকার বিন্দাবনপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, ইত্যাদি গ্রামের মাঠে পর্যাপ্ত আখের চাষ হয়। এ বছর বড়ঞা এবং ভরতপুর ব্লক মিলে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। তবে সারা বছর আখ চাষ করে তাতে যে লাভ কৃষকদের হয় তার থেকে সারা বছর ধরে অন্য কিছু চাষ করলে তার দ্বিগুন লাভ পান কৃষকরা। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আখ চাষে বিমুখ হচ্ছেন কৃষকরা।

মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার দুই থানা এলাকা বড়ঞা এবং ভরতপুর। দুই থানা এলাকায় মূলত নদী তীরবর্তী জমিতে আখের চাষ করেন কৃষকরা। ভরতপুর থানার হরিশ্চন্দ্রপুর ও বিন্দারপুর এলাকার কৃষক মনিরুল শেখ, আজায় শেখ, তপন দাস, নিধুবন মণ্ডল, প্রমুখরা জানিয়েছেন, “পাঁচ বছর আগেও আখের চাষ করে আমরা লাভ পেতাম। কিন্তু এখন আখের চাষ করে লাভ নেই। কারণ একটা জমিতে আখের চাষ করলে সারাবছর আর কোন ফসলের চাষ করা যায় না।” তঁাদের বক্তব্য, সারা বছর আখ চাষে খেতে ফাগুন চৈত্র মাসে থেকে যে গুড় তৈরি করা হয় তার ন্যায্য মজুরি আমরা পাই না। বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কিলো দরে গুড় মিলছে বাজারে। আমাদের কাছে পাইকারি দাম আরও কম। দেখা যায় সারা বছর এক বিঘা আখের পিছনে খরচ করে যা পাওয়া যায় তা খুবই কম। অপরদিকে দালাল ফড়েদের উৎপাতও কম নয়।

[আরও পড়ুন: জৌলুস হারাচ্ছে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর বাগান, কীভাবে করবেন পরিচর্যা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement