সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কানোয়ার যাত্রার রুটের প্রত্যেক দোকানে উল্লেখ করতে হবে দোকান মালিকের নাম। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কানোয়ার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলোকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। চারদিন পরে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে। উল্লেখ্য, কানোয়ার নির্দেশিকার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল বেশ কয়েকটি পিটিশন। আবেদনকারীদের তালিকায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।
চলতি মাসে শুরু হতে চলেছে কানোয়ার যাত্রা (Kanwar Yatra)। তার আগে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে, তার সবকটিতেই বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার মূল উদ্দেশ্য, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলিকে। কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) এবং উত্তরাখণ্ডেও (Uttarakhand)। এই নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিভাজন আরও স্পষ্ট করে তোলা, তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।
[আরও পড়ুন: RSS-এ এবার শামিল সরকারি কর্মীরাও, ‘আধিকারিকরা কি শুধু অন্তর্বাস পরবেন’, তোপ কংগ্রেসের]
তিন রাজ্যের এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। যোগীরাজ্যের তীব্র নিন্দা করে পিটিশন দায়ের করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি আবেদনে জানিয়েছেন, দোকান মালিকের ধর্মীয় পরিচয় তীর্থযাত্রীদের কাছে স্পষ্ট করার উদ্দেশে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা নীতিবিরুদ্ধ। এধরনের বিষয় একাধিক মৌলিক অধিকার খর্ব করে। সমাজের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সম্প্রদায়ের উপর অবিচার। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার একাধিক পিটিশন একত্রিত করে শুনানি শুরু হয় বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং এসভিএন ভাটির এজলাসে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এই নির্দেশের ফলে অনেক দোকানের কর্মচারী চাকরিহারা হয়েছেন। আপাতত সরকারি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে তিন রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে, ২৬ জুলাই এই ইস্যুতে ফের শুনানি হবে।