সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টেও তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক এবং তাদের মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত একটি মামলায় হোয়াটসঅ্যাপকে আদালত সাফ জানিয়ে দিল, নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা নিয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত। এই পরিস্থিতিতে আদালত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য। ফেসবুক (Facebook) বা হোয়াটসঅ্যাপ যত দামি সংস্থাই হোক না কেন, সাধারণ মানুষের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
চলতি বছরের শুরুতেই নিজেদের প্রাইভেসি পলিসিতে বদল আনে জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপ। প্রথমে বলা হয়েছিল, নতুন এই প্রাইভেসি পলিসি সব ইউজারকে মানতেই হবে। অন্যথায় ডিলিট হয়ে যেতে পারে মেসেজিং অ্যাপটি। কিন্তু নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় আছে। ইউজারদের ধারণা, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই পলিসি মানলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে না। কেউ কেউ আবার ভয় পাচ্ছেন, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সমস্ত তথ্য পৌঁছে যেতে পারে ফেসবুকে। গুগল সার্চে নাকি মিলছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সমস্ত তথ্য। ফলে জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপ ছেড়ে অনেকেই টেলিগ্রাম (Telegram) এবং সিগন্যালের (Signal) মতো অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের তরফে বিবৃতি দিয়ে ইউজারদের আশ্বস্তও করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। বাধ্য হয়েই প্রাইভেসি পলিসি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে, সেটা মে মাস পর্যন্ত। মে’র পর ফের নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে ফিরবে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমটি।
[আরও পড়ুন: ‘ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে’, টুইটারের শীর্ষকর্তাদের হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের, হতে পারে গ্রেপ্তারিও]
এই পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি আপডেট হওয়া রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক সমাজকর্মী। তাঁর মামলার ভিত্তিতেই এদিন মেসেজিং অ্যাপটির কর্তৃপক্ষকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত। প্রধান বিচারপতি বোবদে বললেন,”হতে পারেন আপনারা ২-৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সংস্থা। কিন্তু মানুষ নিজেদের গোপনীয়তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। যদি A কোনও মেসেজ B বা C কে পাঠায়, আর সেটা ফেসবুকে শেয়ার হয়ে যায়, তাহলে নিজেদের তথ্য নিয়ে মানুষ ভয় পাবেই। আর মানুষের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।”