সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা শহরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়়িয়ে ইতিহাস। সেটা সাংস্কৃতিক হোক, অর্থনৈতিক হোক কিংবা সামরিক। এই শহরের সঙ্গে জড়িয়ে স্বাধীনতার লড়াইও। আর সেই সময়কার সামরিক ইতিহাস জানতে ঘুরে আসতেই হবে ফোর্ট উইলিয়াম। শহরের অন্দরেই লুকিয়ে যেন আরেকটি শহর! হেঁটে ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে ফোর্ট উইলিয়াম। কবে, কীভাবে ঘুরে দেখতে পারবেন, জানেন?
২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে প্রতি রবিবার হেরিটেজ ওয়াক শুরু হয়েছে। সকাল আটটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত দুটো স্লটে গ্রুপ হেরিটেজ ওয়াক করায় ফোর্ট কর্তৃপক্ষ। তবে সেই স্লট বুক করতে হয় অনলাইনে, ইমেল করে। fortwilliamheritagewalk@gmail.com ইমেল আইডিতে ইমেল করে নাম জানাতে হয়। তারপর তাঁরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেন, সেখান মাথা পিছু টাকা জমা করলে স্লট বুক হয়ে যায়। অন্তত এক সপ্তাহ আগে বুকিং করতে হয়। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য় কোনও টাকা লাগে না।
[আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে’, অধীরেরর সঙ্গে RSS-এর ‘আঁতাঁত’ নিয়ে সতর্কবার্তা মমতার]
হেরিটেজ ওয়াকে কী কী দেখা যায়? অক্ষয় জ্যোতি এবং শহিদ বেদী, বিভিন্ন যুদ্ধে শহিদ সেনাদের পদমর্যাদা ও নাম, বিভিন্ন রেজিমেন্টের বিভাগ এবং তাদের কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ,কেল্লার পরিখা, এক জোড়া সিংহ, বাংলাদেশের যুদ্ধে পাওয়া একটি ট্যাংক, একটি ফাইটার প্লেন, ডালহৌসি বারাক, নেতাজির সেল, নতুন চার্চ, মন্দির, গুরুদুয়ার, কিচেনার হাউস ও টাইম গান, গান হাউস, বল টাওয়ার, আমহার্স্ট হাউস, কমান্ড লাইব্রেরি এবং ফোর্টের সবথেকে পুরোনো কামান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, কামানের গোলা এবং কেল্লা থেকে সেটা ছোঁড়ার ব্যবস্থা ও কমান্ড মিউজিয়াম। তবে এই হেরিটেজ ওয়াক নিতে মানতে হয় বেশকিছু নিয়ম।
[আরও পড়ুন: আসানসোল কম্বল কাণ্ড: আদালতে নিজেই সওয়াল জিতেন্দ্রর, ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের]
যেমন, দেরি করা চলবে না। চটি, হাওয়াই, হাফপ্যান্ট, মিনিস্কার্ট, থ্রি কোয়াটার্স প্যান্ট-এসব পরা যাবে না। জুতো পরতে হবে, ফরমাল বা ক্যাজুয়াল। সরকারি পরিচয়পত্রের আসল ও জেরক্স কপি সঙ্গে রাখতে হবে। জেরক্সটি ওখানে জমা করতে হবে। ছবি তোলা যায় না। ফোর্ট কর্তৃপক্ষ ওয়াকের ছবি তুলে রাখে। সেটি পরে গ্রুপ লিডারকে ইমেল করে পাঠিয়ে দেয়। তবে একেবারে শুধু মুখে ঘোরা নয়, জলযোগের ব্যবস্থাও থাকে। তার জন্য অবশ্য আর আলাদা করে টাকা দিতে লাগে না।