সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহার প্রদেশে লুকিয়ে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের (United Nation) ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা পাওয়া মাসুদ আজহার (Masood Azhar)। সেখান থেকেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ওই জঙ্গি। বুধবার এমনই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিল তালিবান। সরাসরি জানিয়ে দিল, কোনও প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তান এমন দাবি করছে।
তালিবানের (Taliban) তরফে রাষ্ট্রসংঘে তাদের রাষ্ট্রদূত সুহেল শাহিন জানিয়েছে, ”আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই। আর আমরা আফগানিস্তানের মাটিকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতেও দিই না। কোনও প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের দাবি তোলা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘মহিলাদের অপছন্দ করেন, পুরুষ পছন্দ করেন শুভেন্দু’, বললেন অভিষেক]
গতকাল, বুধবারই জানা যায়, জেহাদি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা যে আফগানিস্তানেই আশ্রয় নিয়েছে সেকথা জানিয়ে কাবুলের তালিবান সরকারকে চিঠি দিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে প্রথম থেকেই তাদের এই দাবি ঘিরে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়। অনেকেই মনে কছেন এই পদক্ষেপ আসলে বড়সড় ধাপ্পাবাজি মাত্র। আন্তর্জাতিক মঞ্চের নজর ঘোরাতেই এই চাল পাক সেনার। এবার তালিবানের দাবিতে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হল।
আসলে অনেকেই মনে করছেন, ‘FATF’-এর সুনজরে থাকতে চাইছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (Financial Action Task Force) বা এফএটিএফ গোটা বিশ্বে অর্থপাচার তথা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত সংক্রান্ত বিষয়টি নজর রাখে। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়া জন্য ২০১৮ সালেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত করে তারা। তালিকা থেকে বেরতে মরিয়া ঋণের দায়ে জর্জরিত ইসলামাবাদ। আর তাই তারা এই ধরনের দাবি করে সংস্থার সুনজরে আসতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কোণঠাসা হয়ে যায় পাকিস্তান। হামলার দায় স্বীকার করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের শতাধিক জঙ্গিকে বাধ্যত গ্রেপ্তার করে তারা। গ্রেপ্তার করা হয় আজহারের ছেলে ও ভাইকেও। কিন্তু মাসুদ রয়ে গিয়েছে অধরাই।