সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু এলাকা দখল নয়, আফগানিস্তানের (Afghanistan) মন্ত্রীদেরও খতম করতে চাইছে তালিবান। সেই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপর আঘাত হেনেছে জেহাদিরা। বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের মন্ত্রী, সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা আরও বাড়বে। দেশজুড়ে বোমাবর্ষণের বদলা নিতেই চলবে হামলা। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা।
মার্কিনি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরই আফগানিস্তান দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে তালিবান (Taliban) গোষ্ঠী। একের পর এক শহর দখল করছে তাঁরা। পালটা সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে পরাস্ত করতে বিমান হানা চালাচ্ছে আফগান বাহিনী। সহায়তা করছে আমেরিকাও। যার জেরে সেদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু তালিবানি জেহাদির খতম হওয়ার খবর আসছে। এবার পালটা দেশের সরকারি মন্ত্রী ও আধিকারিকদের টার্গেট করছে তালিবানেরা।
[আরও পড়ুন: রাজকোষ গড়ের মাঠ, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবন ভাড়া দিল Pakistan]
এ প্রসঙ্গে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, “বিমানহানার পালটা মন্ত্রীদের টার্গেট করা হচ্ছে। এবার কাবুলের মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক কর্তাদের উপর হামলা করা হবে। দেশের বিভিন্নপ্রান্তের বিমানহানার বদলা নেব আমরা।” এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই নিরাপত্তায় মোড়া গ্রিন জোনে বিস্ফোরণ ঘটে। এই এলাকায় একাধিক রাষ্ট্রদূতের বাড়ি রয়েছে। এমন এলাকায় গুলিও চলে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মহম্মদির বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ হয়। মন্ত্রী অক্ষত থাকলেও ৮ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও ২০ জন। শুরু হয় ভয়ঙ্কর গুলিযুদ্ধ। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন ফৌজ। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আমেরিকা। আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাস খানেকের লড়াইয়ের পর তালিবানকে কাবুল থেকে বিতাড়িত করে মার্কিন ফৌজ। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পালটেছে। প্রায় দুই দশক কেটে গেলেও তালিবানের বিনাশ সম্ভব হয়নি। আর লাগাতার যুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন। ফলে ২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে এবার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে হোয়াইট হাউস।