সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করেছে আমেরিকা। ফলে দেশটিতে ফের ক্ষমতা দখল করতে পারে তালিবান বলে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে। আর তেমনটা হলে সে দেশে মেয়েদের অধিকার খর্ব হবে। এমনই বলা হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দাদের তৈরি করা এক রিপোর্টে।
[আরও পড়ুন: OMG! ফ্রান্সের সীমানা আড়াই মিটার কমিয়ে দিলেন এক চাষী! কীভাবে জানেন?]
আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা কাউন্সিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তালিবানের মানসিকতা ও মেয়েদের অধিকার সংক্রান্ত অবস্থান মোটেও পালটায়নি। ফলে এই আশঙ্কাটা রয়েই যাচ্ছে যে গত দু’দশক ধরে নারী সুরক্ষা ও অধিকার নিয়ে দেশটিতে প্রগতিমূলক যা কাজ হয়েছে, তা বিফলে যেতে পারে। খর্ব হতে পারে মেয়েদের অধিকার।” ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে বিগত দিনে যা কাজ হয়েছে তা আন্তর্জাতিক চাপের জন্য। এই ক্ষেত্রে আফগান সমাজ বা সরকারের তেমন সদিচ্ছা নেই। ফলে তালিবান ক্ষমতায় না ফিরলেও দেশটি থেকে মিত্রবাহিনী ফিরে গেলে মহিলাদের অধিকার হরণ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, যথাযথ ক্ষমতা বিনিময়ের আগে মার্কিন (US) সেনা সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই দেশটির সিংহভাগ চলে যেতে পারে তালিবানদের কবজায়। সক্রিয় হয়ে উঠবে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। গত মার্চ মাসেই বাইডেন প্রশাসনকে এব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। কিন্তু তবুও মে মাসের ১ তারিখ থেকে যুদ্ধজর্জর দেশটিতে থাকা ২ হাজার ৫০০ সৈনিক ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমেরিকা। ফলে ন্যাটো গোষ্ঠীর অন্য সদস্য দেশগুলিও নিজেদের সৈনিকদের ফিরিয়ে আনছে। এদিকে, আমেরিকা ও কাবুলের গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে আলোচনার ‘নাটক’ করলেও শরীয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করাই যে তাদের উদ্দেশ্য তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী চলে গেলে কাবুলে আশরাফ ঘানির সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আর ফের ক্ষমতা হাতে পেলে নয়ের দশকের তালিবানি অরাজকতা ফিরবে সে দেশে। শরীয়ত আইন চালু করার নামে ফের মহিলাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। বামিয়ান বুদ্ধের মতো আরও ভাস্কর্য ধংসের মুখে পড়বে। ইসলামের নামে প্রকাশ্যে মাথা কাটা হবে। সব মিলিয়ে ফের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হবে আফগানিস্তানে।