সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (Nobel literature prize) পেলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আব্দুলরাজাক গুর্নাহ। বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর নাম ঘোষণা করল নোবেল (Nobel) কমিটি। ‘প্যারাডাইস’, ‘ডেসার্শন’, ‘বাই দ্য সি’র মতো উপন্যাসের লেখক সত্তরোর্ধ্ব গুর্নাহর কলমে বরাবরই ধরা পড়েছে ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও শরণার্থী জীবনের সংকটের খতিয়ান।
গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে শরণার্থী হিসেবে ব্রিটেনে (UK) আসেন তিনি। পরে সেখানে ছাত্রাবস্থা শেষ করে কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন আব্দুলরাজাক। বর্তমানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন তিনি। পূর্ব আফ্রিকার জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা প্রবীণ এই সাহিত্যিক ব্রিটেনের নাগরিক হলেও ফেলে আসা জীবন ও দু’টি ভিন্ন মহাদেশের সাংস্কৃতিক বিভিন্নতা তাঁর লেখার মধ্যে ফুটে উঠেছে। উপন্যাসের চেনা ছাঁচের বাইরে বেরিয়ে তাঁর সত্যনিষ্ঠ আপসহীন ও সহানুভূতিপূর্ণ কলমে ঔপনিবেশিকতার দুর্দশা ও শরণার্থীদের সংগ্রামের ছবি ফুটে উঠেছে। এবার সেই কলমকেই স্বীকৃতি নোবেল কমিটির।
[আরও পড়ুন:বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ছেড়ে মহালয়ায় চণ্ডীপাঠে উত্তমকুমার, তীব্র প্রত্যাখ্যান জানিয়েছিল বাঙালি]
১৯৯৪ সালে তাঁর উপন্যাস ‘প্যারাডাইস’ বুকার ও হুইটব্রেড পুরস্কারের জন্য শর্টলিস্টেড হয়। পরে ‘বাই দ্য সি’ (২০০১) ও ‘ডেসার্শন’ (২০০৫) উপন্যাস দু’টি বুকারের জন্য লংলিস্টেড হয়। ওই দু’টিই আবার শর্টলিস্টেড হয় ‘লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস বুক অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য। এবার নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলেন বিশ্বখ্যাত এই সাহিত্যিক। এখনও পর্যন্ত ১০টি উপন্যাস লিখেছেন তিনি। গল্প সংকলন রয়েছে একটি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত রাখা হয় নোবেল কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের কারণে। পরের বছর একসঙ্গে দুই বছরের পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের জন্য পুরস্কার পান পোলিশ লেখক ওলগা টোকারচুক। ২০১৯ সালের জন্য বিবেচিত হয় অস্ট্রিয়ার পেটার হান্টকের নাম।