সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা দুর্গা ফিরে গিয়েছেন কৈলাসে। বিষন্ন বাঙালি মন এখন হাতড়ে বেড়াচ্ছে ফেলে আসা স্মৃতিগুলি। কিন্তু, সময়ের নিয়মে যে এগিয়ে যেতেই হবে। ক্লান্তির রেশ কাটাতে তাই ক’টা দিন কাটিয়ে আসুন তপ্তপাণির উষ্ণতার আবেশে। যাতে ডুব দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন সমস্ত চিন্তা-ভাবনা, ব্যথা-বেদনা।
Advertisement
কী দেখবেন –
- তপ্তপাণির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সালফার যুক্ত উষ্ণ জলের প্রস্রবণগুলি। যাতে স্নান করলে নাকি শরীরের সমস্ত ব্যথা-বেদনার নিরাময় হয়।
- চারপাশের সবুজের রাজত্বে অবাধে ঘুরে বেড়ায় হরিণের দল। বনের এই চপল প্রাণীদের সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের কাঁধে।
- পাশে রয়েছে পূর্বঘাট পর্বমালার কিছু অংশ। যার পাদদেশে বাস কুটিয়া কোন্ধ, বোন্দা, দিঙ্গারা কোন্ধ ও মালির মতো উপজাতিরা। মাটির কাছের মানুষগুলোর ছিমছাম জীবনযাপন ভীষণভাবে আকর্ষণ করে পর্যটকদের।
- এছাড়াও রয়েছে নীলকণ্ঠেশ্বর, কান্দিমাতা, তারাতারিণির মতো মন্দির।
- রয়েছে একাধিক ছোট ছোট জলপ্রপাত। আর কাছেই গোপালপুরের সমুদ্রসৈকত।
কীভাবে যাবেন –
- তপ্তপাণির সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন বেহরমপুর। সেখানে নেমে ট্যাক্সি ধরে নিতে হবে। গাড়িও বুক করে রাখতে পারেন।
- বেহরমপুরগামী স্টেট হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া বাসগুলি করেও তপ্তপাণি পৌঁছান যায়।
কোথায় থাকবেন –
তপ্তপাণিতে সুন্দর সরকারি গেস্ট হাউস রয়েছে। যেখানে ২৪ ঘণ্টা উষ্ণ প্রস্রবণের জল পাওয়া যায়। তবে আজকাল ‘ট্রি হাউস’-এ থাকার চল প্রচলিত হয়েছে। সেটাও এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
The post উষ্ণতার আবেশে সতেজতার নতুন ঠিকানা তপ্তপাণি appeared first on Sangbad Pratidin.