গোবিন্দ রায়: কলকাতায় এসেছিলেন ছেলের চিকিৎসা করাতে। হঠাৎই বিপর্যয় নেমে আসে মালদহের স্কুল শিক্ষিকা স্মিতা ঘোষের জীবনে। কোনওরকম নোটিস ছাড়াই ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বন্ধ করে দেওয়া হয় বেতনও। শেষে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাই কোর্ট। অবিলম্বে তাঁকে স্কুলে ঢোকার অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তবে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ সত্বেও ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে ফের হাই কোর্টের দ্বারস্থ মালদহের ওই শিক্ষিকা।
শিক্ষিকার আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, ২০০৬ সালে উত্তর দিনাজপুরের একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতায় যোগদান করেন স্মিতা ঘোষ। ২০১১ সালে তাঁর একটি পুত্র সন্তান হয়। তখন বাচ্চার দেখভালের জন্য তিনি বদলি নিয়ে দিনাজপুর থেকে মালদহের মহাদেবপুর পিপি প্রাইমারি স্কুলে যোগ দেন। জানা যায়, শিশুটি বিশেষভাবে সক্ষম। তার চিকিৎসার জন্য শিক্ষিকাকে প্রায়শই কলকাতায় আসতে হচ্ছিল বলে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে (ডিপিএসসি) তাঁর বাচ্চার চিকিৎসাজনিত ছুটির আবেদন করেন।
[আরও পড়ুন: ডিজে মেক্সিকান তরুণীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ! মুম্বইয়ে গ্রেপ্তার যুবক]
তাঁর দাবি ছিল, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তার সার্ভিস রেকর্ড যথেষ্টই ভালো। তাই সেই আবেদন মঞ্জুর করা হোক। কিন্তু তিনি বাচ্চার চিকিৎসার জন্য কলকাতায় হঠাৎ তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তিনি কলকাতা থেকে ফিরে স্কুলে গেলে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়েই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে ডিপিএসসি তাদের বক্তব্য জানতে সময় চায়। তবে শিক্ষিকার স্কুলে ফিরতে ডিপিএসসির (DPSC) কোনও বাধা নেই বলে আদালতে জানান ডিপিএসসির আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মোদির ছবি দিয়ে ‘সেলফি পয়েন্ট’ তৈরির নির্দেশ ইউজিসির, তোপ তৃণমূলের]
আগামী ২০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। এর মধ্যে ওই শিক্ষিকা যাতে আবার স্কুলে ফিরে তাঁর কর্মজীবন শুরু করতে পারে ডিপিএসসি ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।