সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একবার বড়সড় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম ই-কমার্স সংস্থা আমাজন। এবার একসঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে এই সংস্থা। ২০২২ সালে প্রায় ২৭ হাজার কর্মীকে বসিয়ে দিয়েছিল এই সংস্থা। এবার এক ধাক্কায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে আমাজন। খুব শীঘ্রই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে খবর। ফলে বহু মানুষের কপাল যে পুড়তে চলেছে তা বলাই যায়।
বর্তমানে গোটা বিশ্বে প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি কর্মী কর্মরত রয়েছেন আমাজনে। ইতিমধ্যে খরচের চাপ সামলাতে বেশ কিছু শীর্ষ পদ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। সেই সমস্ত পদেই ছাঁটাই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন পরিষেবা ঠিক রাখতে বিপুল কর্মী নিয়োগ করে আমাজন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা 'বোঝা' বলেই মনে করছে সংস্থা। ফলে খরচের চাপ সামলাতে এবং বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বিপুল এই কর্মী সংকোচনের পথে হাঁটতে চলেছে এই ই কমার্স সংস্থা। তবে কোন দেশে কতজন কর্মী ছাঁটাই হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ভারতেও বহু কর্মী আমাজনে কাজ করেন। ফলে এর প্রভাব ভারতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
অন্যদিকে ব্যায় সঙ্কোচের কথা আমাজন বললেও এর নেপথ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এআই গবেষণায় ব্যাপক টাকা ঢালতে শুরু করেছেন জেফ বেজোস। এই বছর সব মিলিয়ে ওই খাতে বিনিয়োগের অঙ্ক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিপুল বিনিয়োগকে সমতা আনাটাও ছাঁটাইয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর এমনটা যে হবে সেটা কিন্তু জেফ বেজোস আগেই বলেছিলেন। গত জুনে তিনি বলেন, ”আমাদের আশা, আমাদের মোট কর্পোরেট কর্মী সংখ্যা হ্রাস হতে চলেছে। কারণ আমরা ব্যাপকভাবে এআই ব্যবহার করতে চলেছি, যাতে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।”
তবে শুধু আমাজন নয়, গত কয়েকবছরে ফ্লিপকার্ট-সহ একাধিক সংস্থা কর্মসংস্থানের পথে হেঁটেছে। এমনকী ভারতের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসও একাধিক কর্মী ছাঁটাই'য়ের পথে হেঁটেছে। একের পর এক সংস্থায় কর্মী ছাঁটাইয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে কর্মসংস্থা।
