অর্ণব দাস, বারাসত: বারাসত, নৈহাটির কালীপুজোর খ্যাতি কে না জানে? পুজোর কয়েকটা দিন এসব চত্বরে দর্শনার্থীদের থিকথিকে ভিড় ফি বছরের চেনা ছবি। ভিড় সামলাতে পুলিশি প্রহরাও কম থাকে না। তবে অনেকেই আবার পুজোর ভিড়ে মণ্ডপ, প্রতিমা দর্শন করতে চান না। চান, ফাঁকায় ফাঁকায় পুজোদর্শন করতে। এবছর তাঁদেরই কথা মাথায় রেখে নয়া উদ্যোগ নিল বারাসত পুলিশ। পরিক্রমার সুবিধার্থে শুক্রবার দর্শনার্থীদের জন্য ওয়েবসাইট উদ্বোধন হল। পুজো মণ্ডপে যাওয়ার আগেই বাড়ি বসে www.kalipujabarasat.in - এই লিংকে ক্লিক করলেই দেখে নেওয়া যাবে পুজো গাইড ম্যাপ। জেনে নিন খুঁটিনাটি।
সেই ম্যাপে কোন মণ্ডপে 'রিয়েল টাইম ক্রাউড' দেখে ঠিক করে নেওয়া যেতেই পারে, কোন পুজোয় আগে দর্শন করা যাবে। এই ম্যাপ দেখেই মণ্ডপে যাওয়ার 'শর্ট রুট' বেছে নেওয়া যাবে। বাইক বা গাড়ি নিয়ে এলে কোথায় পার্কিং করতে হবে, তাও দেখে নেওয়া যাবে ওয়েবসাইট থেকে। কোথায় কোথায় নো এন্ট্রি, তাও দেখে নেওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের হেল্পলাইন অপশনে গিয়ে এক ক্লিকে ফোনে করা যাবে পুলিশ, হাসপাতাল, দমকল-সহ ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ে। ভিড় সামাল দিতে ট্রাফিক ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন বারাসত জেলা পুলিশ কর্তারা। ২০ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর কটা দিন পণ্যবাহী কোনো গাড়ি বারাসত শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কলকাতার দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস বারাসতের রথতলা মোড়ে আটকে দেওয়া হবে।
কিন্তু এবছর কলকাতামুখী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ওয়ান-ওয়ে করা হবে বলে। তবে ডাকবাংলো মোড় থেকে ময়না পর্যন্ত ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে দর্শনার্থীদের ভিড় বুঝে ২০ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। রথতলা থেকে যশোর রোডের দিকে শেঠপুকুর পর্যন্ত টোটো, অটো-সহ বাইক, চারচাকা অবশ্য সচল থাকছে। শেঠপুকুরেই পুলিশের নির্ধারণ পার্কিং জোনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়াও ১১ নম্বর রেলগেট, হেলাবটতলা মোড় সংলগ্ন মিলনীর মাঠে পার্কিং জোন করা হচ্ছে। মণ্ডপের ও শহর জুড়ে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি রাখার পাশাপাশি কালীপুজোর দিনগুলিতে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকছে।
শুক্রবার বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, "গত বছর আমরা খুব ভালোভাবে দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিয়েছি। এবার ট্রাফিক ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বারাসতবাসীর যাতে সমস্যা না হয়, তারজন্য আধার, ভোটার এবং বিদ্যুতের বিল সহ অন্যান্য পরিচয় প্রমান পত্র দেখে ছেড়ে দেওয়া হবে।"
