সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুগটা এআইয়ের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্রমেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় চমকের পর চমক সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতিতে মেটা কর্মীদের জানিয়ে দিল যদি চাকরিতে উন্নতি করতে হয়, তাহলে এআই ছাড়া গতি নেই। এহেন নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, কর্মীদের এমনই কড়া বার্তা দিয়েছে মেটা। জানিয়েছে, আগামী বছর থেকেই সংস্থা কর্মীদের পারফরম্যান্স বিচার করার সময় এআই সংক্রান্ত দিকটি খতিয়ে দেখা হবে। অর্থাৎ এআইয়ের প্রতি কেবল উৎসাহিত করাই নয়, রীতিমতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপরে নির্ভরশীল হওয়ারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেটার এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জেনেলে গেল জানিয়ে দিয়েছেন, সংস্থা চায় ইঞ্জিনিয়ারিং, মার্কেটিং ইত্যাদি সব বিভাগেই প্রত্যেক কর্মীকেই জানাতে হবে কীভাবে এআই ব্যবহার করে তাঁরা নিজেদের কাজের গতি বাড়িয়েছেন এবং উন্নতি করেছেন। আসলে মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ চান, মেটাকে একটি এআই-নির্ভর সংস্থায় পরিণত করতে, যেখানে প্রতিটি প্রক্রিয়া এবং ব্যক্তি 'যান্ত্রিক' বুদ্ধিমত্তায় পরিপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি এআই চ্যাটবট ফিচার এনেছে মেটা। তা নিয়ে চলছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে শুরু করে আরও নানা আকর্ষণীয় টুল রয়েছে এখানে। কিন্তু এটুকুতেই আটকে না থেকে আগামিদিনে এআই সংক্রান্ত দিকটিতে প্রভূত উন্নতি করতে চায় জুকারবার্গের সংস্থা। আর সেই কারণেই এমন নির্দেশ, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে যৌনগন্ধী কথোপকথন থেকে মিথ্যে প্রেমের ফাঁদ। প্রযুক্তির জমানায় এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কুকীর্তি নেহাত কম নয়। রয়টার্সের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, শিশু, কিশোরদের সঙ্গে যৌনগন্ধী কথাবার্তা বলে মেটার এআই। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে জুকারবার্গের সংস্থা। সক্রিয় হয় সেনেট। এরপরই মেটার মুখপাত্র জানান, শিশুদের সঙ্গে যৌনগন্ধী কথাবার্তা বন্ধ করতে সাময়িকভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ করা হবে। যার ফলে বয়স অনুযায়ী এআই-এর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
