সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের খাদ্য-অর্থনীতির সঙ্গে ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সম্পর্ক সকলেরই জানা। গত কয়েক বছরে ক্রমে বেড়েছে সুইগি, জোম্যাটো-সহ অ্যাপের ব্যবহার। কিন্তু দেশের বহু রেস্তরাঁই চাইছে না তাদের নাম ওই সব অ্যাপে নথিবদ্ধ থাকুক! এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি, ৩৫ শতাংশ রেস্তরাঁ চাইছে গাঁটছড়া আর না বাঁধতে।
কেন ফুড ডেলিভারি অ্যাপে আপত্তি?
সবচেয়ে বড় কারণ হল প্রতিটি অর্ডারে পাওয়া কমিশন নিয়ে মতানৈক্য। রিপোর্ট অনুসারে, গত কয়েক বছর ধরেই এই দর কষাকষি চলেছে। যা ক্রমশ বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে এই কমিশন ছিল ৯.৬ শতাংশ। যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৪.৬ শতাংশে। এর থেকে পরিষ্কার, রেস্তরাঁগুলির দর কষাকষি করার ক্ষমতা বেড়েছে। বিশেষ করে বড় ও মাঝারি রেস্তরাঁগুলির ক্ষমতা বেশি। তবে ছোট রেস্তরাঁ ও আউটলেটগুলির ক্ষেত্রে ছবিটা একটু আলাদা। তাই এই ধরনের রেস্তরাঁগুলি কমিশন নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এদিকে রেস্তোরাঁগুলির তরফে আলাদা করে বলা হয়েছে অ্যাপগুলির খারাপ ক্রেতা পরিষেবা এবং নিয়মিত অর্ডার থাকলেও লাভের অঙ্ক খুব বেশি না থাকার মতো বিষয়গুলির কথাও।
আপত্তি সত্ত্বেও কেন থেকেই গিয়েছে রেস্তরাঁগুলি?
এর নেপথ্যে রয়েছে তিনটি বড় কারণ। এক, ৫৯ শতাংশ রেস্তরাঁ জানিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করার কারণে তাদের ভৌগোলিক এলাকা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ছড়িয়ে গিয়েছে ব্যবসা। দুই, ৫২.৭ শতাংশ রেস্তরাঁ জানিয়েছে, মেনুতে নানা পদ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। তিন, ৫০.৪ শতাংশ রেস্তরাঁ জানিয়েছে, ফুড অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্তির ফলে তাদের গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ছোট রেস্তরাঁগুলির ক্ষেত্রে এই কারণগুলি ফুড অ্যাপের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাওয়ার কারণের থেকে বেশি শক্তিশালী। তাই কোনও কোনও বিষয়ে সমস্যা থাকলেও সামগ্রিক ভাবে ফুড অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্তিকরণেই মত দিচ্ছে তারা।
