সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের প্ল্যাটফর্মে একেবারে নতুন একটি ফিচার আনল মেটা। আর সেই ফিচারকেই কেউ কেউ বলছেন 'প্রাইভেসি নাইটমেয়ার'। অর্থাৎ ফাঁস হয়ে যেতে পারে আপনার যাবতীয় গোপন তথ্য! কারণ এই ফিচারটি মেটা এআইকে ফোনে থাকা ছবি এডিট করার অপশন দিচ্ছে। এমনকী যে সমস্ত ছবি এখনও ফেসবুকে শেয়ার করা হয়নি, সেসব ছবিও এডিট করার অপশন দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই দাবি ইউজারদের। আর তাতেই ইউজারদের গোপনীয়তায় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা!
সম্প্রতি সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এডিট করা ছবি ফেসবুক ফিডে বা স্টোরিতে পোস্ট করার আগে এআই জেনারেটেড সাজেশন দেওয়া হবে গ্রাহকদের।
আমেরিকা ও কানাডায় আপাতত এই ফিচার ব্যবহার করতে পারছেন মেটা ব্যবহারকারীরা। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা ফোনে একটি পপ আপ মেসেজ পাবেন। দেখা যাবে একটি ডায়ালগ বক্স। সেখানে বলা হবে "allow cloud processing"। এছাড়া ফোনে থাকা ছবি এডিট করার পরামর্শও দেওয়া হবে। কোলাজ, রিক্যাপ, রিস্টাইলিং, বার্থডে থিম-সহ একাধিক অপশন রয়েছে। তবে ব্যবহারকারীরা যে কোনও সময় এই ফিচার বন্ধ করে দিতে পারেন। এই ফিচারে ফেসবুকে থাকা ছবি তাদের ক্লাউডে আপলোড করবে ও মেটা এআই এডিট করার ক্ষেত্রে সাজেশন দেবে।
এই ফিচার নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে! ইউজারদের একাংশের প্রশ্ন, এভাবে ফাঁস হয়ে যাবে না তো ব্যক্তিগত তথ্য? যদিও মেটার তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যে এআই সিস্টেমকে উন্নত করার স্বার্থে কিংবা বিজ্ঞাপনী কাজে কোনও গ্রাহকের ছবি ব্যবহার করা হবে না। তা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
মেটার এআই টার্ম মেনে নিয়ে ব্যবহারকারীরা সব ছবি দেখার অনুমোদন দিয়ে থাকে। আর ফেসবুকে থাকা এই সমস্ত ছবি মডিফাই করা কিংবা তা থেকে নতুন কনটেন্ট জেনারেট করার ক্ষমতা রয়েছে মেটার। কিন্তু ছবিগুলি ব্যবহার করে নতুন কোনও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে সেই ছবি তোলার দিনক্ষণ, লোকেশন-সহ নানা দিক খতিয়ে দেখে মেটা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাতেই ইউজারদের অনেক গোপন তথ্য, তাঁদের লাইফস্টাইল, সম্পর্ক, দৈনিক কাজকর্ম-সহ সবটাই খুলে যাবে মেটার সামনে। ফলে এমন ফিচারের কথা প্রকাশ্যে আসতেই শঙ্কিত ইউজারদের একাংশ।
