সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। ব্যক্তিগত চ্যাট, গ্রুপ, কলিং কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল- মেটার এই মেসেজিং অ্যাপের নানা দিকই ইউজারদের দারুণ প্রিয়। ক্রমেই তা দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে যদি আচমকাই খোয়াতে হয় অ্যাকাউন্টটি! সেটা যে খুব ভালো ব্যাপার হবে না তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু চারটি ভুল এমন রয়েছে, যা করলে কিন্তু এক পলতে খোয়াবেন অ্যাকাউন্ট। এবং সেটাও চিরতরে। কাজেই জেনে নিয়ে সতর্ক থাকুন।
'আনঅফিসিয়াল' হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ ব্যবহার করলে
জিবি হোয়াটসঅ্যাপ, ইও হোয়াটসঅ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ প্লাসের মতো অ্যাপে অতিরিক্ত ফিচার নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু তা হোয়াটস্যাপের শর্তাবলিকে লঙ্ঘন করে। এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করলে ম্যালওয়ার ছড়ানো কিংবা সাইবার নিরাপত্তা হারানোর মতো বিপদ হতে পারে। আবার হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ একবার জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে চিরতরে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারে।
বাল্ক মেসেজ পাঠালে
আপনি কি বহুসংখ্যক মানুষকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন, যাঁদের কাছে আপনার নম্বর সেভ করা নেই? অথবা একই ধরনের মেসেজ বারংবার পাঠাতে থাকেন? 'আগন্তুক'দের গ্রুপে অ্যাড করে দেন? সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টটি চিহ্নিত হতে পারে 'পোটেনশিয়াল স্প্যাম' হিসেবে। একাধিক নম্বর থেকে যদি রিপোর্ট করা হয়, একেবারে তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে অ্যাকাউন্টটি।
ঘৃণাভাষণ ছড়ালে
অশ্লীল ভাষায় কথা বললে কিংবা কাউকে আক্রমণ করলে অথবা নিগ্রহ করলেও কিন্তু বিপদ। বিপদ ক্ষতিকর কনটেন্ট শেয়ার করলেও। যার মধ্যে রয়েছে ঘৃণাভাষণও।
হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করলে
সচরাচর হোয়াটসঅ্যাপ কিন্তু স্থায়ী ভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে না। উপরে বর্ণিত ক্ষেত্রেও কিন্তু বহু সময়ই প্রাথমিক ভাবে সতর্কতা জারি করা হয়। সাময়িক ভাবে ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তাতে শিক্ষা না নিয়ে যদি একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে চলেন, তাহলেও গোলমাল! আচমকাই দেখবেন হোয়াটসঅ্যাপ আপনাকে চিরতরে ব্যান করে দিয়েছে। কাজেই সাধু সাবধান! অন্যথায় চোখের নিমেষে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি খোয়াতে হবে।
