সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে যেতে ভাল লাগত না। আর সেই কারণেই বন্ধুকে খুন করল এক কিশোর! শুনতে যতই আশ্চর্য লাগুক, এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) মুসুরি। অভিযুক্ত কিশোর খুনের (Murder) পর নিজেই আত্মসমর্পণ করেছে স্থানীয় থানায়। তার কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি পুলিশের। পরে মৃত কিশোর নীরজ কুমারের মৃতদেহ খুঁজে পেয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা।
ঠিক কী হয়েছিল? স্কুলে যেতে ভাল লাগে না বলে কেনই বা খুন করার মতো চরম পদক্ষেপ নিল অভিযুক্ত কিশোর? জানা গিয়েছে, তার বয়স ১৬ বছর। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রর স্কুলে যেতে একেবারেই ভাল লাগত না। মাসে কম করে দশদিন কামাই করত। পড়াশোনাতেও ভাল ছিল না। পরীক্ষায় নম্বর পেত খুবই কম। দিনে দিনে তার অনাগ্রহ বেড়েই চলছিল। সে সুযোগ খুঁজছিল কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পায়।
[আরও পড়ুন: জেল কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া, পার্থ ও অর্পিতার ভারচুয়াল শুনানির আবেদন মঞ্জুর করল আদালত]
এই অবস্থায় সে জানতে পারে জেলের আসামিদের পড়াশোনা করতে হয় না। এরপরই তার মাথায় আসে খুনের মতলব। ‘শিকার’ হিসেবে সে বেছে নেয় বন্ধু নীরজকে। ১৩ বছরের ওই কিশোর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। কিন্তু মতলব আঁটলেও তা কার্যকর করা হয়ে উঠছিল না। তিন-চার বার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে সোমবার বিকেলে খেলতে যাওয়ার নাম করে দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ের এক ফ্লাইওভারের নিচে অভিযুক্ত কিশোর নিয়ে যায় নীরজকে।
এরপর আমচকাই নীরজের শ্বাসরোধ করে সে। পরে ভাঙা বোতল দিয়ে তার গলাও কেটে দেয়। বন্ধুকে চোখের সামনে ছটফট করতে দেখেও চুপ করে পাশেই দাঁড়িয়েছিল ওই কিশোর। পরে তার দেহ নিথর হয়ে গেলে তবেই সেই স্থান ছাড়ে সে। পুলিশকে নিজেই একথা জানিয়েছে অভিযুক্ত। মঙ্গলবার তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। এমন বিচিত্র কারণে কী করে এক নাবালক এমন চরম পরিকল্পনা করতে পারল ভেবে বিস্মিত এলাকাবাসী।