সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দিদির বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। সে কারণে তাঁর উপর চলে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার। ওই মহিলার যৌনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তা সহ্য করতে পারেননি তিনি। আর সেকথা ফেসবুক লাইভে জানিয়ে একে একে আত্মঘাতী যুবক ও তাঁর বাবা-মা। একই পরিবারের তিন সদস্যের আত্মহত্যার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শ্যামল এবং রীতা নস্কর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার হাঁড়া নস্করপাড়ার বাসিন্দা। এক ছেলে ও একটিমাত্রই মেয়ে রয়েছে তাঁর। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। একটি বেসরকারি ঋণদানকারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তরুণী। তাঁর দায়িত্ব ছিল ওই গোষ্ঠীর মাধ্যমে যাঁরা ঋণ নিতেন, সেই টাকা তুলে তা ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া। অভিযোগ, এই কাজ ঠিকমতো করেননি ওই তরুণী। তিনি আত্মসাৎ করেছিলেন ওই টাকা। তা নিয়ে অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, শনিবার রাতে বেশ কয়েকজন টাকার দাবিতে তরুণীর বাপের বাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আরও দাবি, ওই তরুণীর যৌনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ভাগ্নের উপরেও চলে অত্যাচার।
মেলেনি প্রথম মেসেজের রিপ্লাই, ১১ বছর পর সেই ‘স্বপ্নসুন্দরীকে’ই বিয়ে করলেন চিকিৎসক
হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোনওক্রমে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে বকখালিতে পালিয়ে যান ওই যুবক। বনবিবির মন্দিরের পিছনের একটি জঙ্গলে গা ঢাকা দেন তিনজনেই। এরপর রবিবার দুপুরে ওই জঙ্গল থেকেই ফেসবুক লাইভ করেন যুবক। বেসরকারি ঋণদানকারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। মিথ্যে অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
ফেসবুক লাইভ চলাকালীন একের পর এক জঙ্গলের গাছে গলায় দড়ি দিতে শুরু করেন ওই যুবক এবং তাঁর বাবা, মা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জঙ্গল থেকে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ফেসবুক লাইভে উল্লেখ করা প্রত্যেকটি তথ্য সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।