সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: SSC মামলায় রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের রায়ে চাকরিহারা ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের রায়ে হতাশ চাকরিহারারা। হয়তো সমস্যা মিটতে পারে বলেই নতুন আশায় বুক বাঁধছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নানা টানাপোড়েনের মাঝে একনজরে ফিরে দেখা যাক এসএসসি মামলার খুঁটিনাটি।
২০২১ সালের জুন মাস: তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু করেছিলেন।
২০২১ সালে ২২ নভেম্বর: গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
২০২১ সালের ডিসেম্বর: সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রণজিৎ বাগের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি: প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। বাগ কমিটিকে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২২ সালের এপ্রিল: সিবিআই নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত শুরু করে।
২০২২ সালের ১৭ মে: হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ বেআইনি বলে চিহ্নিত হয়। একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগের তদন্তভারও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক বান্ধবীর টাকা-গয়না হাতিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার যুবক]
২০২২ সালের ১৮ মে: বাগ কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে আদালতে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
২০২২ সালের ২২ জুলাই: গ্রেপ্তার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
২০২২ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর: প্রথম রিপোর্ট জমা দিয়ে সিবিআই আদালতে জানায় এসএসসিতে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বর-২০২৩ সালের মার্চ: অন্তত ৫ হাজার নিয়োগ বেআইনি বলে চিহ্নিত হয়। বাতিল হয় চাকরি।
২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর: এসএসসির সমস্ত মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার নির্দেশ দেয়। আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল: বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ SSC মামলার রায় দেয়। ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়। চাকরিহারাদের সুদ-সহ বেতন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।