স্টাফ রিপোর্টার: DA পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বাংলার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র মিটিয়ে দিলেই পূর্ণ হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য টাকা মেটাবে না। সেই কারণেই কেন্দ্র সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার বলে তোপ দেগে তাকে হঠানোর ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
শনিবার দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে সমাবেশে হাজির ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya), শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ারা। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee), বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সাংসদ মালা রায়, ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক প্রমুখ। এই মঞ্চ থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন আরও জোরদার করার ডাক দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আর শশী পাঁজার একযোগে তোপ, “কেন্দ্র সরকার বাংলার প্রাপ্য আটকে রেখেছে। এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা বাংলার। সেই টাকা দিলেই ডিএ দেওয়া হবে।” মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার কথায়, “লোকে ভেবেছিল ফেডারেশন মানে সব ফেড হয়ে যাবে। কিন্তু বাম জমানার ধর্মঘট, বন্ধ সংস্কৃতি বন্ধ করে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়েছে ফেডারেশন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এর সদস্যপদ ২ লাখে নিয়ে যেতে হবে।”
[আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার দায় নিয়ে ‘নিঃশব্দে’ সরে গিয়েছিলেন লালবাহাদুর, আজও স্মরণীয় সেই ইতিহাস]
ফেডারেশনের আন্দোলন কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর। সে কথা বলতে গিয়ে সিপিএমের কর্মসচারী সংগঠন কো-অর্ডিনেশনকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের চ্যালেঞ্জ,“আয় কো-অর্ডিনেশন দেখে যা ফেডারেশনের ক্ষমতা।” বিজেপিকে তাঁর তোপ, “বিজেপির ১৮ জন সাংসদ। কত টাকা কত পরিষেবা এনে দিয়েছে বাংলার মানুষকে? কিন্তু তুলনা করে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কী করেছেন বাংলার মানুষের জন্য।” আরেক মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, “ডিএ দিলে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিতে পারবেন। কেন্দ্র বাংলার পাওনা দিক। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজির বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য যা বলেছেন, অনেক আগেই বাংলার গরিব মানুষের হাতে টাকা তুলে দিয়ে সেটা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
[আরও পড়ুন: ১০ দলিত খুনে সাজা চার দশক পর, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৯০-এর বৃদ্ধের]
তাঁর সংযোজন, “আপনাদের ডিএ পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। একটু ভাবুন বাংলার সেই গরিব মানুষগুলোকে আপনারা একটু সাহায্য করছেন। বামপন্থীরা পাপ-পুণ্য মানে না। আমরা মানি।” আরেক মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “কেন্দ্রে স্বৈরাচারী সরকার নিপাত যাক। বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশে উন্নয়নের হাওয়া বইবে।” সবশেষে দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের ডাক দেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “অপেক্ষা করুন দেশের রাজনীতি তোলপাড় হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। ১৮টা দল এনডিএ-র সঙ্গে ছিল। ১৪টা দল তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাদেরকেই সংঘবদ্ধ করতে হবে।”