সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের পর বিজেপি (BJP)। এবার শুভেন্দু অধিকারীর চন্দননগরের মিছিল থেকে উঠল ‘গোলি মারো’ স্লোগান। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু চাপানউতোর।
বুধবার চন্দননগরে (Chandannagar) রোড শো ছিল বিজেপির। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্ত অংশ নেন তাতে। লরিতে চড়ে দিব্যি ফুল ছুঁড়ে, হাত নাড়িয়ে রোড শো চলছিল। আচমকাই বেশ কয়েকজন ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেন। তাতেই পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। বিড়ম্বনায় পড়েন বিজেপি নেতারা। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির একটি সমাবেশ থেকে সিএএ বিরোধীদের দিকে এইভাবেই আক্রমণ শানানো হয়েছিল। দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। বিভিন্ন মহল থেকে এই স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার বিজেপির মিছিল থেকে একই স্লোগান ওঠায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের শব্দবন্ধনীকে সমর্থন করে না বিজেপি। যে বা যারা মিছিলে এই ধরনের কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: ফের ভাঙন তৃণমূলে, এবার বিজেপিতে যোগ শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের]
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের (TMC) শান্তি মিছিলেও ‘বাংলার গদ্দারোকো গোলি মারো শালেকো’ স্লোগান শোনা যায়। রাজ্যের শাসক দলের মিছিল থেকে ওঠা এই স্লোগানের সমালোচনা করে বাম ও কংগ্রেস। “তৃণমূল যেভাবে বিজেপিকে হাত ধরে নিয়ে এসেছিল এই রাজ্যে সেভাবেই কেন্দ্রের শাসকদলের সংস্কৃতিও আমদানি করা হচ্ছে। মানুষ এই দুই দলকে প্রত্যাখ্যান করবে বলেই দাবি দুই জোট শরিকের। তৃণমূলের মিছিল থেকে ওঠা ‘গোলি মারো’ স্লোগান নিয়ে বিজেপিও আক্রমণ শানায়। তবে বুধবার বিজেপির মিছিলে ওঠা একই স্লোগানে যেন অক্সিজেন পেল তৃণমূল। চন্দননগরের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এর আগে মঙ্গলবারের ঘটনারও বিরোধিতা করেন তিনি। ‘অত্যুৎসাহী যুবকেরা’ এই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। বুধবার যদিও গেরুয়া শিবিরকে খোঁচাই দিলেন। বললেন, “গতকাল বড় বড় কথা বলছিল বিজেপি। এবার কী বলে সেটাই দেখার।”