রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ফের বেফাঁস তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি (Akhil Giri)। এবার শিশির অধিকারী ও তাঁর পুত্র শুভেন্দুকে সরাসরি নিশানা করলেন তিনি। সভায় দাঁড়িয়ে শিশির অধিকারীকে ‘নেংটি’ মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেন অখিল গিরি।
রবিবারই মুগবেড়িয়ায় সভা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তারই পালটা দিতে সোমবার সভা করে তৃণমূল। মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি অধিকারীদের নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, “নবম আশ্চর্য হল শিশির অধিকারী আর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ। দিল্লি থেকে টাকা নিচ্ছে আর ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের ক্ষতি করে বিজেপি করছে। বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশির অধিকারীর। আগে নাতি-নাতনি কে নিয়ে হাত নেড়ে ঘুরতেন। এখন ছেলের পাল্লায় পড়ে বাবাও মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করছে।” এরপর তিনি আরও বলেন, “আমি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলে আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হচ্ছে। তাহলে শিশির অধিকারী কেন্দ্রের কি মন্ত্রী ছিলেন? হাফপ্যান্টের ছোট যেটা হয়, তাকে তো নেংটি বলে। উনি কি তাহলে নেংটি মন্ত্রী?”
[আরও পড়ুন: ৬ মাস আগে বাপের বাড়ি গিয়ে আর ফেরেননি বধূ, স্ত্রীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় স্বামী]
এদিন ফের কাক প্রসঙ্গ তুলে ধরে অখিল গিরি বলেন, “আমি কাক হই বা ভেড়া হই। আমরা রূপের বিচার করি না গুণের বিচার করি।” এরপরই শুভেন্দুকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ওর চামড়াটা শুধু সাদা, ভেতরটা ময়লা। জামা তুলুন পুরো কানস্যার।” সভা চলাকালীন এভাবেই একের পর এক বোমা ফাটান অখিল গিরি। অভিযোগ করেন, তাঁর সভা বানচাল করতে এলাকায় বোমাবাজি করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, বিজেপির সন্ত্রাস, কাঁথিতে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সফল করা প্রভৃতি ইস্যুকে সামনে রেখে এদিন ভগবানপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি এই সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। এদিন শুরুতে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল এসে পাঁউশি মাঠে জড়ো হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উনি(বিরোধী দলনেতা) শুধু তৃণমূলকে ‘তোলামূল তোলামূল’ করেন। ওঁর জেনে রাখা ভাল, তৃণমূল দলটা ছিল বলেই আপনি বিরোধী দলনেতা হতে পেরেছেন। দিদি আপনাকে সবই দিয়েছিলেন। এমনকী দিদি আমাদের কাছ থেকে পদ কেড়ে আপনাকে একসঙ্গে অনেক পদ দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি দিদির সঙ্গে, বলা ভাল মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। ভুল মানুষমাত্রেই হয়। আমারও হয়েছিল। কয়েকজনের প্ররোচনায় পা দিয়ে আমি বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিলাম। আবার ভুল শুধরে নিয়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছি।”