সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আয়কর ছাড়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে। চাপ কমানোর চেষ্টা হয়েছে মধ্যবিত্তেরও। আর সেই সঙ্গেই মুখে হাসি ফুটেছে ভ্রমণপিপাসুদের। কারণ পর্যটক ক্ষেত্রেও একাধিক আকর্ষণীয় উদ্যোগের কথা জানালেন নির্মলা।
করোনা অতিমারী কাটিয়ে নতুন করে চাঙ্গা হয়েছে দেশের পর্যটন। বাড়ছে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা। আগামী দিনে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়াতে নতুন উদ্যোগের কথা এদিন ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। বলেন, এ দেশে এমন বহু পর্যটনস্থল রয়েছে, যা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আড়ালে পড়ে রয়েছে। সেই সমস্ত কেন্দ্রগুলি চিহ্নিত করে তার পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং সৌন্দর্যায়ন করা গেলে পর্যটন শিল্প থেকে আয় আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্য পূরণেই এবার এমনই ৫০ পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া হবে বলে জানালেন নির্মলা। সেই সমস্ত জায়গায় পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা থেকে যাতায়াত, সবদিকেরই উন্নতিসাধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা মামলা: ধাক্কা রাজ্যের, কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে করা FIR খারিজের নির্দেশ আদালতের]
বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি দেশের মধ্যবিত্তরা যাতে কম খরচে গোটা দেশ ঘুরতে পারেন, তার জন্যও ঘোষিত হল নয়া প্রকল্প। দেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে ‘দেখ আপনা দেশ’ প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। যার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে চালু হবে স্বদেশ দর্শন স্কিমও। এখানেই শেষ নয়, ভারতবর্ষের অন্যতম আকর্ষণ নানা ধর্মীয় উৎসব। বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্যের ছবি ফুটে ওঠে নানা পার্বনে। তাই ধর্মীয় উৎসবের কথা মাথায় রেখে তৈরি হবে পর্যটন প্রকল্প।
এছাড়াও প্রান্তিক এলাকায় পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পর্যটনশিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহ দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকেও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, যে সব রাজ্যের পণ্যে জিআই ট্যাগ রয়েছে এবং যে জিনিসগুলির বিশেষত্ব রয়েছে, তা প্রদর্শনের জন্য সেই রাজ্যের রাজধানী কিংবা বড় শহরে প্রদর্শনী কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার হস্তশিল্প বিক্রির জন্য তৈরি হবে ‘ইউনিটি মল’।
পর্যটনের সার্বিক উন্নতির স্বার্থে জোর দেওয়া হবে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের মোট ৫০টি বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। সব মিলিয়ে পর্যটনশিল্প থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় বাজেটে পর্যটনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।