সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি (BJP) ছেড়ে সবেমাত্র তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এর দু’দিনের মাথায় নির্ধারিত সূচি মেনে সোমবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করলেন আসানসোলের সাংসদ। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দুপুরে নবান্নে আসেন বাবুল (Babul Supriyo)। মুখ্যমন্ত্রী ঘরে বসে দুজনের মধ্যে আধঘণ্টা কথাবার্তা হয়। বিভিন্ন বিষয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানান সাংসদ। নবান্ন থেকে বেরিয়ে এ প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, “আমি আজ খুশি। দিদির ভালবাসা, উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি আপ্লুত। মন খুলে কাজ করতে পারব।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার উপনির্বাচনে সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না BJP, ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর]
তবে দলে তাঁর ভূমিকা কী তা ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করে দেবেন বলে জানিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। বাবুলের কথায়, “দিদি, অভিষেক যা দায়িত্ব দেবেন তা পালন করব। মন খুলে গানও গাইতে পারব। দিদি যে গান গাইতে বলবেন, সেই গান গাইব।” নবান্ন থেকে বেরিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন আসানসোলের সাংসদ। তাঁর কথায়, “এর আগেও একাধিকবার দিদির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় কথা হয়েছে। এদিনও তাই হল। অন্য জায়গা থেকে এখানে এসেছি। কিন্তু দিদি, অভিষেক আমাকে আপন করে নিয়েছেন।”
এদিন বাবুল আরও জানিয়েছেন, “দিদি বলেছেন মন খুলে কাজ করতে। সঙ্গে মন খুলে গান করতেও বলেছেন।” মমতা-বাবুল সাক্ষাতে স্বাভাবিকভাবে ঝালমুড়ি প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই আসানসোলের সাংসদ বলেন, “এখন দেখা গিয়েছে মুড়ি খেলে মোটা হয়ে যাচ্ছে। ইউরিয়া মেশানো হচ্ছে মুড়িতে। তাই দিদি সেই মুড়ি খেতে বারণ করেছেন। উনিও খাচ্ছেন না।”
[আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের পথ্যের গুণমান কেমন? স্বাস্থ্যদপ্তরের পরীক্ষায় পাশ কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোমও]
প্রসঙ্গত, ১৮ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন বাবুল। যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল সূত্রে খবর, লোকসভার সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে পারেন তিনি। বদলে অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া সাংসদ আসনে রাজ্যসভায় যেতে পারেন বাবুল।