সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের আগে নাশকতা অব্যাহত পাকিস্তানে (Pakistan)। ভোটের ঠিক আগের দিন জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বালুচিস্তান। দুই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২২। জানা গিয়েছে, নির্দল প্রার্থীর নির্বাচনী দপ্তরের সামনেই প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণও ঘটে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিকবার নাশকতার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভোরবেলায় খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি থানায় হামলা চালায় জঙ্গিদের বিশাল দল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১০ পুলিশকর্মীর। কয়েকদিন আগে এই প্রদেশেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে খুন হয়েছেন ইমরান খানের দলের নেতা রেহান জাইব খান। মিছিলেই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে পালিয়ে যায়। আহত হন আরও তিন পিটিআই সমর্থক।
[আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায় রহস্যমৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ার]
সেই হামলার স্মৃতি টাটকা থাকতেই ফের রক্তাক্ত হল আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বালুচিস্তান। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর নাগাদ নির্দল প্রার্থী আসফানদার খান কাকারের দপ্তরের সামনে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে জামিয়াত উলেমা ইসলামের কার্যালয়ে। সেখানে আরও ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই মুসলিমপন্থী রাজনৈতিক দল হিসাবে পাকিস্তানে কাজ করছে তারা। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা হয়েছে বলেই খবর।
ক্রমাগত হিংসার জেরে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছিল একাধিক শিবিরের তরফে। সেই নিয়ে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। সীমান্তের প্রদেশগুলোতে লাগাতার হিংসা সত্ত্বেও নির্বাচন পিছোতে নারাজ কমিশন। তবে বৃহস্পতিবার নির্বাচন চলাকালীন আরও নাশকতা হতে পারে বলেই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।