সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কান্নার আওয়াজ যেন ঘরের বাইরে না বেরোয়! মহিলাকে মারধরের আগে তাই কাপড় দিয়ে তাঁর মুখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। খুলে নেওয়া হয়েছিল তাঁর পোশাকও। তারপর বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মার। এই নৃশংসতা কোনও দাগী অপরাধী বা দুষ্কৃতীর নয়। এই নৃশংস আচরণের অভিযোগ উঠছে খোদ আইনের রক্ষাকর্তা অর্থাৎ পুলিশের বিরুদ্ধে।
ঘটনাস্থল সেই উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর (Lalitpur)। আবারও কাঠগড়ায় যোগী রাজ্যের পুলিশ। এই সেই ললিতপুর, যেখানে দিন কয়েক আগে গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে থানারই মধ্যেই বড়বাবুর দ্বারা ফের ধর্ষিত হতে হয় এক বছর তেরোর নাবালিকাকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ললিতপুরেই পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলার বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল। শুধু মহিলাকে নগ্ন করে মারধর নয়, পুলিশের কাছে যে অভিযোগ জানতে এসেছিলেন ওই মহিলা, সেই অভিযোগ যাতে চেপে দেওয়া যায়, তার জন্য পুলিশ পালটা তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা করে। মামলা করা হয় ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধেও।
[আরও পড়ুন: বার্লিনে মোদিকে দেশাত্মবোধক গান শোনানো শিশুর ভিডিও বিকৃতি! বিতর্কে কুণাল কামরা]
ঘটনাক্রম এই রকম। দিন কয়েক আগে অংশু প্যাটেল নামের এক কনস্টেবল ওই পরিচারিকার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনেন। কিন্তু কোনও মামলা দায়ের না করে তিনি ললিতপুর জেলার মেহরাউনি এলাকার সরকারি বাসভবনে নিজেই পরিচারিকাকে মারধর শুরু করেন। হাত লাগান ওই কনস্টেবলের স্ত্রীও। পরিচারিকাকে বাঁচাতে এলে তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। নিজের বাড়িতে মারধরের পর ওই পরিচারিকাকে কোতয়ালি থানায় টেনে নিয়ে যান অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক। সেখানেই ওই মহিলার মুখ ঢেকে নগ্ন করে মারধর করা হয়। কনস্টেবলের পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ ওঠে এক সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধেও।
[আরও পড়ুন: ২০১৭’র ‘আজাদি মিছিল’ মামলায় ৩ মাসের জেল, জরিমানা জিগনেশের]
ঘটনাটি ঘটেছে ২ মে। বুধবার রাতে তা প্রকাশ্যে আসে। তারপর অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে যোগী (Yogi Adityanath) প্রশাসন। ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে (UP Police) সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।